'জয় শ্রীরাম' বলতে না চাওয়ায় ট্রেন থেকে ধাক্কা, মমতার ফোন আক্রান্ত শিক্ষককে
'জয় শ্রীরাম' বলতে চাননি শিক্ষক। তার জন্য তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ঠেলে দেওয়া হয়। ক্যানিং লোকালে আক্রান্ত মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুখ হালদারকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'জয় শ্রীরাম' বলতে চাননি শিক্ষক। তার জন্য তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ঠেলে দেওয়া হয়। ক্যানিং লোকালে আক্রান্ত মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুখ হালদারকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও এক আহত ব্যক্তিকেও ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে আক্রান্ত দু-জনকেই ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ারও কথাও ঘোষণা করেন। আহত মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। তিনি হুগলি যাচ্ছিলেন। কলকাতা যাওয়ার পথে একদল রামভক্ত তাঁর উপর চড়াও হন। চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে একদল যুবক ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
অভিযোগ, ট্রেন ঢাকুরিয়া ছেড়ে যাওয়ার পর হঠাৎই তাকে 'জয় শ্রীরাম' বলার জন্য চাপ দিতে থাকে ওই যুবকেরা। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় মারধর শুরু করে দেন তারা। ট্রেনে কামরা ভর্তি লোক থাকলেও কেউ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। শেষপর্যন্ত পার্ক সার্কাস স্টেশন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়ান আক্রান্ত শিক্ষকের পাশে। আরও এক আহতের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। লোকসভা ভোটের সময়ে থেকেই রাজ্যে এই জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বেলেল্লাপনা চলছে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। আবার কখনও তা পৌঁছে যাচ্ছে হিংসার চরম পর্যায়ে।
আবার লোকসভাতেও এই জয় শ্রীরাম স্লোগান কদর্য রূপে দেখানো হয়েছে। বিজেপি এই 'জয় শ্রীরাম' বিরোধিতা করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মীয় স্লোগানকে রাজনৈতিক স্লোগান পরিণতে করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। তার সর্বশেষ সংস্করণ শিক্ষককে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া।