ফোনে বার্তা দেবেগৌড়াকে, মোদীকে রুখতে কংগ্রেসের হয়ে আসরে নামলেন মমতা
আগেই টুইট বার্তায় মত প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জেডিএস নেতা এইচডি দেবেগৌড়াকে ফোন করে কংগ্রেসকে সমর্থনের আর্জি জানালেন তিনি।
জোট হলে ভোটের ফল অন্যরকম হত বলে আগেই টুইট বার্তায় মত প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার জেডিএস নেতা এইচডি দেবেগৌড়াকে ফোন করে কংগ্রেসকে সমর্থনের আর্জি জানালেন তিনি। কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের ত্রিশঙ্কু ফলাফলের পর দেবেগৌড়াকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেস যে একা বিজেপিকে রুখতে পারবে না তা কর্ণাটক ভোটের আগে থেকেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই সত্যি হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপিকে রুখতে আসরে নেমেছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি গোলাম নবি আজাদকে পাঠিয়েছেন পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখাতে। সেইমতোই কংগ্রেসের সমর্থনে জেডিএস সরকার গড়তে পারে কর্ণাটকে।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কর্ণাটকের জেডিএস নেতা দেবেগৌড়াকে ফোন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেডিএস সুপ্রিমোকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান। তারপর অনুরোধ করেন, কংগ্রসকে সমর্থন দিতে। বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসের হাত শক্ত করা দরকার, তা তিনি বুঝিয়ে দেন। এই উদ্যোগ জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
দেবেগৌড়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফোন এবং কংগ্রেসকে সমর্থনের বার্তা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বুঝিয়ে দিলেন মোদী বিরোধী জোট গড়তে এবং মোদীকে ২০১৯-এ সিংহাসন চ্যুত করতে তিনি কতটা মরিয়া। সেই কারণেই কংগ্রেসকে সমর্থছনের আর্জি জানিয়েছেন দেবেগৌড়ার কাছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় পরিষ্কার জেডিএস কংগ্রেসের ভোট কাটাকাটির ফলেই বিজেপি বিপুল জয় পেল কর্ণাটকে। এই পরাজয় কংগ্রেসকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এখনও একা বিজেপিকে হারানোর অবস্থায় নেই তাঁরা। রাহুল গান্ধী যদি তাঁর সেই পরামর্শ কানে তুলতেন তাহলে কংগ্রেসকে এই হারের মুখে পড়তে হত না। বিজেপিও অক্সিজেন পেত না ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে।
[আরও পড়ুন: মমতা বাংলার মাথা হেঁট করে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত যুদ্ধ-শেষে কড়া ভাষায় তোপ অধীরের]
এদিন কর্ণাটকের রেজাল্ট সামনে আসতেই টুইটারে বিজয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, যাঁরা পরাজিত হলেন, তাঁদের আরও লড়াই করতে হবে। তবে এই লড়াই আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। জোট গড়ে সেই লড়াই করলে অন্য চিত্র হত কর্ণাটকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন কংগ্রেস গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক, আঞ্চলিক দলগুলিকে সম্মান দিক। তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার পথ প্রশস্ত হবে। বিজেপিকে সরাতে চাইলে কংগ্রেসকে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে হাত মেলাতেই হবে।