শুভেন্দু অনুগামীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ, মমতার সিদ্ধান্তে বাড়ল জল্পনা
দুই মেদিনীপুরে শুভেন্দু-অনুগামীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। শুভেন্দু যখন তৃণমূলে বেঁকে বসে আছেন, তখন মেদিনীপুরে সভা করে জল মেপে এলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুই মেদিনীপুরে শুভেন্দু-অনুগামীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। শুভেন্দু যখন তৃণমূলে বেঁকে বসে আছেন, তখন মেদিনীপুরে সভা করে জল মেপে এলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শুভেন্দু অনুগামী বা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অমূল্য মাইতিকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং হাজরা, সহ সভাধিপতি তথা জেলার সভাপতি অজিত মাইতিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন অমূল্য মাইতিকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেননি, তিনি এড়িয়ে যান বিষয়টি।
নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদও যাবে!
কিছুদিন আগে অমূল্য মাইতির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তারপর বিস্তরর জলঘোলা হয় বিষয়টি নিয়ে। এই বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন অমূল্যবাবু। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সফরে একটিবারের জন্যও দেখা যায়নি তাঁকে। প্রস্তুতি পর্ব থেকে থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা- কোনও কর্মসূচিতেই ছিলেন না অমূল্যবাবু।
শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ, মমতা বন্যোর পাধ্যায়ের নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ
মুখ্যমন্ত্রীর দুদিনের সফরে তাঁকে দেখা যায়নি, অথচ শুভেন্দু অধিকারী এলেই তাঁকে দেখা যায় পাশে। এই আঙ্গিকে মমতা বন্যোঠমপাধ্যায়ের নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দশ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলে ঘোরতর মানস ভুঁইয়া বিরোধী তিনি
তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে অমূল্য মাইতির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অমূল্যবাবু মেদিনীপুর জেলা পরিষেদর খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ। আর তিনি রাজনৈতিক মহলে ঘোরতর মানস ভুঁইয়া বিরোধী বলে পরিচিত। স্বভাবতই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে বিশেষ বার্তা দিতে চাইলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।