নব্য-আদি দ্বন্দ্ব মেটাতে আসরে মমতা, সভাপতিকে ধমক দিয়ে গড়লেন পৃথক কমিটি
মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন তিনি দলে কোনও লবিবাজি মানবেন না। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নদিয়া জেলা সভাপতিকে ধমক দিয়ে অবিলম্বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধের নির্দেশ।
মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন তিনি দলে কোনও লবিবাজি মানবেন না। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সামনে লোকসভা নির্বাচন, বড় পরীক্ষা। নদিয়া জেলা সভাপতিকে ধমক দিয়ে অবিলম্বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধের নির্দেশ দেন। দলকে কড়া বার্তা দিয়ে শুধু নদিয়া জেলার জন্যই পৃথক কোর কমিটি গড়ে দেন দলনেত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পৃথক কমিটিতে রাখেন নদিয়া জেলার পোড় খাওয়া নেতাদের। মূলত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করবে এই কমিটি। এই কমিটিতে রাখা হয়েছে উজ্জ্বল বিশ্বাস, গৌরীশঙ্কর দত্ত, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাদের। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনওমতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে যেন আমল না দেওয়া হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, দল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক নতুন ছেলেরা আসছে। তাঁদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। এটা একটা দল, এখানে আমিত্ব ত্যাগ করে আমাদের কথা বলতে হবে। নতুনরা সুযোগ পাবে, পুরনোদের সামনে রেখে তারা কাজ করবে। এটাই দলের নীতি। পুরনোদের দায়িত্ব নিতে হবে নতুন মুখ তুলে আনার জন্য। নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার অর্থ গুরুত্ব কমে যাওয়া নয়, এটা মাথায় রাখতে হবে।
[আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই ভাই-ভাইপোর দুর্নীতি! লোকায়ুক্ত বিল নিয়ে মমতাকে কড়া আক্রমণ রূপার]
সম্প্রতি নদিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের গাল খুবই খারাপ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেন এত সাংগাতিক রূপ নিয়েছে কৃষ্ণনগরে, জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের কাছে জানতে চান মমতা। তিনি বলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ করে একত্রিত হয়ে কাজ করু, নাহলে আমকে অন্য ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লবিবাজি বন্ধ করুন। আমার নজর রয়েছে সর্বত্রই।
[আরও পড়ুন: বাতিল নয় টেট, অনিয়মে জরিমানা পর্ষদকে! স্বস্তি ফিরল ১৯ হাজার শিক্ষকের]