এককালের ডানহাতকে আজ 'সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক'-এর তকমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর কী বললেন
নিজের থেকেও তাঁকে নাকি বেশি বিশ্বাস করতেন। তাই দলের সংগঠনের নেতৃত্বে এক নম্বর স্থানে তাঁকে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের থেকেও তাঁকে নাকি বেশি বিশ্বাস করতেন। তাই দলের সংগঠনের নেতৃত্বে এক নম্বর স্থানে তাঁকে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নিজে পাগলের মতো এক স্থান থেকে আর এক স্থানে ব্যস্ত থাকতেন গণ আন্দোলনকে সংগঠিত করতে। কিন্তু, যাকে সেই এক নম্বর স্থানে বসিয়েছিলেন সেই তিনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে 'সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক'।
[আরও পড়ুন:জট কাটছেই না পঞ্চায়েত নির্বাচনের! এখন কেন নয়া নির্ঘণ্ট জারি করতে পারল না কমিশন]
এভাবেই মুকুল রায় সম্পর্কে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ এপ্রিল এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুকুল রায়ের নাম না করেই এমন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন 'আমি তাঁর নাম মুখে আনতে চাই না। কিন্তু তিনি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক। ' বিশ্বাস করে তাঁর উপরে নানা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে জানান মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু তার যা প্রতিদান পেয়েছেন তা তাঁকে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক বলা ছাড়া কোনও উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন।
এই 'বিশ্বাসঘাতক'-এর জন্যই ত্রিপুরার শাসন ক্ষমতা তৃণমূলের হাত ফস্কে গিয়েছে বলেও মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও রাখ-ঢাক না করেই তিনি বলেন ত্রিপুরায় কংগ্রেসের যে বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের দায়িত্ব সেই 'বিশ্বাসঘাতক'-এর হাতে দিয়েছিলেন। আর সেই 'বিশ্বাসঘাতক' কোটি কোটি টাকার লোভে বিজেপি-তে চলে গেলেন। আর সেই সঙ্গে ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তিকে ভেঙে নিয়ে গেলেন বিজেপিতে। এই ঘটনা না হলে হয়তো ত্রিপুরার বিধানসভার ফলটা হয়তো অন্যরকম হত বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়ায় বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করেছে বিজেপি। এমনকী মুকুল রায়ও পঞ্চায়েত হিংসার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করেও অভিযোগ করেছেন। যদিও, মুকুল রায় নিয়ে আলাদা করে কোনও প্রতিক্রিয়া এতদিন ব্যক্ত করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বুঝিয়ে দিলেন মুকুল রায় সম্পর্কে তাঁর ধ্যান-ধারনা।