প্রশান্ত কিশোর নন, 'বেসুরো'দের পথে আনতে ফ্রন্টফুটে মমতা! দলের হেভিওয়েট-দিদি বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
শুভেন্দুর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার জন্য প্রথমে নেমেছিলেন সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেই পরিস্থিতিতে বরফ কিছুটা গলার জল্পনার মধ্যেই পরের বৈঠকে শুভেন্দু মুখোমুখি হন প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক। তার একদিনের মাথাতেই শুভেন্দু সৌগতদের জানান 'একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়'। এদিকে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি পর্বেও বিক্ষুব্ধ নেতা সরাসরি মমতার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমন অবস্থায় গোটা রাজ্যে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী 'বেসুরো' হতে শুরু করেছেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতার স্ট্র্যাটেজি একনজরে দেখা যাক।
'বহিরাগত', কিশোর ও দিদি
তৃণমূলের মধ্যে একটা বড় অংশের ক্ষোভ রয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে। এই নিয়ে মদন মিত্র থেকে শুরু করে একাধিক নেতা সরাসরি মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন। অনেকই বলছেন, কীভাবে কোথায় মিটিং হবে, কোন জামা পরে কোথায় যাওয়া হবে তা 'বহিরাগত' প্রশান্ত কিশোর কেন ঠিক করবে। আর তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল তিলে তিলে উপভোগ করছে বিজেপি! যে কোন্দলের জেরে বহু তৃণমূল নেতা 'বেসুরো' হতে শুরু করেছেন। আর তাঁদের দলে মুখ ফেরাতেই চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা।
রাজীব-মমতা বৈঠক হতে পারে!
সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, তৃণমূলের অন্দরে খবরে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন রাজীব। তারপর তাঁরই এলাকায় রাজীবের নামে 'দাদার ভক্ত' দের পোস্টার পড়ে। যে পোস্টারে তৃণমূলের প্রতীক ছিল না।জল্পনা শুরু হতেই রাজীবের সঙ্গে আলোচনায় বসে দল। তবে নেত্রী এ রাজীবের বৈঠক সরাসরি হয়নি। যদিও তার আগেই রাজীব জানান, দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব নেই।
দিদির হাতে রাশ
জানা যাচ্ছে, হুগলির বেসুরো এক বিধায়কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই মমতার একটি বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এর আগে , মমতা শুভেন্দুকে আটকাতে মুখোমুখি না বসলেও, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি শোনা যাচ্ছে, মমতা শুভেন্দুকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। যদিও ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউই মুখ খোলেননি। অন্যদিকে, শুভেন্দুকে আটকাতে তাঁদের কাঁথির বাড়ি পর্যন্ত যান প্রশান্ত। তবে লাভ মেনেনি! এমন এক পরিস্থিতিতে এবার দিদি নিজেই নামছেন ময়দানে।
প্রশান্তের ভূমিকা খর্ব হতে পারে কি!
এক জনপ্রিয় বাংলা দৈনিকের খবর বলছে, বিধানসভায় প্রার্থী তালিকার ক্ষেত্রেও প্রশান্ত কিশোর ভূমিকা নিতে শুরু করেছিলেন। প্রার্থী বাছাইয়ে ছিল তাঁর কিছু পরামর্শ। এমন পরিস্থিতিতে দলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্টের ক্ষমতা খর্ব করে, মমতা সম্ভবত প্রার্থী বাছাইয়ের রাশও নিজের হাতে রাখতে চলেছেন।