মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগদান, তবু তৃণমূল মানতে নারাজ! আপত্তি খোদ মমতার
মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগদান, তবু তৃণমূল মানতে নারাজ! আপত্তি খোদ মমতার
মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু তাঁকে দলে মানতে নারাজ। আপত্তি জানিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্য সবায় তাঁকে দলে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মমতা। এমনকী জেলা নেতৃত্বকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর উপর রাশ টানার। কিন্তু কেনই বা আপত্তি, আর কেনই বা তারপরও তিনি জেলা কমিটিতে রয়েছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে ধন্দ।
মুকুলের হাত যোগদান, তবু ইয়াসিনে মমতার
সম্প্রতি এক প্রকাশ্য সভা থেকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন ইয়াসিনের যোগদান নিয়ে। মুকুল রায়ের হাত ধরে ইয়াসিন যোগদান করলেও তা অনুমোদন দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কী কারণে ইয়াসিনে এত আপত্তি মমতার? আসলে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বহু অভিযোগ উঠেছে। খুন থেকে জমি দখল, বেআইনিভাবে অস্ত্র মজুত-সহ ১৮টি মামলা তাঁর নামে ঝুলছে।
ইয়াসিনকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা নেতৃত্ব
কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটে হুগলির এক দৃষ্কৃতীর মৃত্যুর ঘটনায় ইয়াসিনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। তার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে মালদহের তৃণমূল শিবির। তিনি মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদানের পর তাঁকে মালদহ জেলা কমিটিতে রাখা হয়। তাতেই অস্বস্তিতে পড়ে জেলা নেতৃত্ব।
২০১৩ সালের পর থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ
এই ইয়াসিন বাংলায় পালাবদলের আগে বামেদের ছত্রছায়ায় ছিলেন। মালদহের রতুয়ার সাহাপুরের বাসিন্দা। ২০১৩ সালে তিনি বামেদের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করেন এবং জয়ীও হন। বোর্ড গঠনের সময়ে তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করেন। তারপর তিনি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষও হন সেই বোর্ডের। এরপরই তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
বিচারধীন অবস্থায় বছর খানেক জেলও খাটেন
মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে এসেছিলেন। তৃণমূল নেতা হিসেবে দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। এরপর রতুয়ায় এক কর্মসূচিতে তিনি এক তৃণমূল নেত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরে এক বৃদ্ধা খুনে ইয়াসিনের নামে অভিযোগও হয়। দুই ঘটনাতেই তিনি বিচারধীন অবস্থায় বছর খানেক জেলও খাটেন।
নির্বাচন কমিশন তাঁকে নজরবন্দি করে রাখে
এরপর ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইয়াসিনের স্ত্রী পায়ল খাতুন রতুয়া জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। সেই সময় ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্সে লুটের অভিযোগ উঠেছিল। লোকসবা নির্বাচনেও তাঁর বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশন তাঁকে নজরবন্দি করে রাখে।
বিচারাধীন মামলা, তৃণমূলও তাঁকে নিয়ে সতর্কও
পুলিশ জানিয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি মামলা ঝুলছে। এরপর মালদহ সফরে গিয়ে ইসায়িনের উপরে রাশ টানার নির্দেশ দেন মমতা। তারপরও অবশ্য স্বমহিমায় দলে ছিলেন। জেলা কমিটির সম্পাদকও হয়েছিলেন। দলে সক্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে তিনি চাপে। আদালতে বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন থাকায় তৃণমূলও তাঁকে নিয়ে সতর্ক।
Anubrata Mondal: বিহার-ঝাড়খণ্ডে ছড়িয়ে সম্পত্তি, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে কেষ্ট