ভাইপোকে গুরু দায়িত্ব পিসির! অভিষেককে সঙ্গে নিয়েই ব্যাক টু ব্যাক বৈঠক মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের বৈঠক ডেকে জাতীয় কর্মসমিতির ২০ সদস্যকে বেছে নিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দলে তিনিই সর্বেসর্বা। তাঁর কথাই তৃণমূলে চলবে। এই অবস্থায় ফের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসলে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের বৈঠক ডেকে জাতীয় কর্মসমিতির ২০ সদস্যকে বেছে নিয়েছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দলে তিনিই সর্বেসর্বা। তাঁর কথাই তৃণমূলে চলবে। এই অবস্থায় ফের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন মমতা। বৈঠকের বেশ কিছুক্ষণ কেটেও গিয়েছে।
এই বৈঠক সব দিক থেকেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বৈঠক থেকেই একাধিক ঘোষণা হতে পারে। তবে এই বৈঠকের আগে অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক সারলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যা আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
কারন গত কয়েকদিন আগেই এই ব্যক্তি এক পদ নিয়ে প্রবীণ এবং নবীনদের মধ্যে একটা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কেও চিড় ধরেছে বলে রাজনৈতিকমহলে জোর গুঞ্জন। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন আগেই জরুরি বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে জাতীয় পরিস্থিতিতে সমস্ত পদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করা হয় তৃণমূলের তরফে। এমনকি পদ খোয়ান অভিষেকও।
এই অবস্থায় জাতীয় কর্মসমিতির ২০ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। আর তাঁদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক শুরুর আগে অভিষেকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্তে বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এছাড়াও আরও দুট বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে কথাবার্তা শেষেই বাকি দুটি বৈঠক করা হয়। একটি বৈঠকে মলয় ঘটক এবং অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে হয়। অন্য আরও একটি বৈঠক ফিরহাদ হাকিম এবং মমতার মধ্যে হয়। এখানেও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
জানা যাচ্ছে, ব্যাক টু ব্যাক এই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। জানা যাচ্ছে, জাতীয় ক্ষেত্রে সমস্ত পদেই এদিন নাম ঘোষণা করা হবে। আর তাতে কাকে রাখা যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর এবং শিলিগুড়িতে ব্যাপক ভোটে জিতেছে শাসকদল।
এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হিসাবে গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করা হলেও বাকি তিনটেতে মেয়র পদে কারা থাকছেন সে সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকে এই বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে তৃণমূল নেত্রী আলোচনা করেছেন। আর সেখানে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অন্যদিকে, তৃণমূল নতুন পদ সৃষ্টি হতে পারে। কার্যনির্বাহী সভাপতি পদ তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আর তা নিয়েও ব্যাক টু ব্যাক হওয়া বৈঠকে আলোচনা হওয়ার জোর সম্ভাবনা।