মোর্চার বনধের বিরোধিতায় রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী, এরই মধ্যে জিটিএ-র তদন্তে অডিট টিম
পাহাড়ে ফের হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনে প্রাসঙ্গিক হতে চাইছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভৃআন্দোলনের পর শুক্রবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ সফল করতে পিকেটিং করছে মোর্চা। পরিস্থিত অগ্নিগর্ভ।
দার্জিলিংয়ে মোর্চার ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে জ্বলছে পাহাড়। বনধ সফল করতে সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন মোর্চা সমর্থকরা। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং সকাল থেকেই পিকেটিং চালানো হচ্ছে। সকাল থেকেই বন্ধ সমস্ত দোকানপাট। ঘোর বিপাকে পড়ছেন পর্যটকরাও। পাল্টা পাহাড়ের রাস্তায় নেমে পর্যটকদের আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
মুখ্যমন্ত্রী বন্ধের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এই বনধ বেআইনি। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। আইন আইনের পথেই চলবে। পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনবই। আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই। কিছুতেই এই বেআইনি বনধ বরদাস্ত করব না। পুলিশি নিরাপত্তায় দু-একটি সরকারি বাস চালানো হচ্ছে। যদিও তাতে দুর্ভোগ কমার লক্ষণ নেই। পাহাড়বাসীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত হবেন না, সরকার আপনাদের পাশে আছে।
বাংলা ভাষা আবশ্যিকের বিরোধিতা করে গত তিনদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল পাহাড়। সেই উত্তাপ মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বৃহস্পতিবার। দার্জিলিং রাজভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন বাইরে হিংসাশ্রয়ী বিক্ষোভ সংঘটিত করেন মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকীলানই ভানুভবনে মোর্চা সমর্থকরা জমায়েত করে। মোর্চার বিক্ষোভে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়।
ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পাল্টা লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, শূন্যে গুলি- অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজভভন চত্বর। এরপর র্যাফ ও সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ভানুভক্ত ভবনকে দখল মুক্ত করে পুলিশ। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় মোর্চা নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকরা। মোর্চা এরপর শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয়।
সেইমতো এদিন সকাল থেকেই বনধ চলছে। এদিনও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই আবার পাহাড়ে আসছে স্পেশাল অডিট টিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য সরকারের দেয় টাকা খরচের হিসেব দিতে পারেনি জিটিএ। তখনই পাহাড়ে অডিট টিম পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিনই অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ছ'জনের একটি দল পাহাড়ে আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অডিট টিম কতটা কাজ করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।