মুকুলকে ‘জবাব’ দেওয়া শুরু! বিজেপি ছেড়ে ‘ঘরওয়াপসি’র ক্ষেত্র তৈরি করেছেন নেত্রী মমতা
মুকুলকে ‘জবাব’ দেওয়া শুরু! বিজেপি ছেড়ে ‘ঘরওয়াপসি’র ক্ষেত্র তৈরি করে দেন মমতাই
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ডাক দিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরে দলে রদবদল করে তিনি ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিলেন। তাতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে 'ঘরওয়াপসি' শুরু হয়ে গেল। দক্ষিণ দিনাজপুরের হেভিওয়েট নেতা বিপ্লব মিত্র ভাই প্রশান্ত মিত্রকে নিয়ে ফিরে এলেন তৃণমূলে। মুকুল রায়কে জবাব দেওয়া শুরু হয়ে গেল মমতার।
মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়ে সুখে ছিলেন না বিপ্লব
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর বিপ্লব মিত্র তৃণমূল ছেড়েছিলেন। মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সঙ্গে ভাই প্রশান্ত মিত্র ও অন্যান্য অনুগামীদেরও তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর ঘরে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তিনি বিজেপিতে খুব সুখে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছিল।
মমতাই তৃণমূলে ফেরার পথ প্রশ্ন করে দিলেন বিপ্লব মিত্রের
এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলায় দলের সাংগঠনিক চিত্রে পরিবর্তন ঘটায়, বিপ্লব মিত্রের দলে ফেরা সহজ হয়ে যায়। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ব্যাপক রদবদল ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। অর্পিতাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেন গৌতম দাসকে। আর তারপরেই দলে যোগ দিলেন বিপ্লব মিত্র।
‘ঘরওয়াপসি’র পর কী বললেন ‘হেভিওয়েট’ বিপ্লব মিত্র
বিজেপিতে মোহভঙ্গের পর তৃণমূলে যোগ দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের ‘হেভিওয়েট নেতা' বিপ্লব মিত্র বলেন, ঘরে ফিরে এসে খুব ভালো লাগছে। সাময়িক বিচ্ছেদ হয়েছিল। একটু ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা মিটে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক ফেলতে পারিনি। তিনি ডাক দিতে্ই ফের ঘরে ফিরে এলাম।
ষড়যন্ত্রকারীদের আটকাতে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক
তিনি আরও বলেন, বিজেপিতে গিয়ে বুঝেছি, ওদের সঙ্গে আমাদের আদর্শের অনেক ফারাক। তা বুঝেই বসে গিয়েছিলাম। তারপর মমতাদি যখন ডাকলেন আর দেরি করিনি। আমরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করে ষড়যন্ত্রকারীদের আটকে দেব। বাংলায় যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা আটকাতে হবে। সবাইকে নিয়ে আমরা আসন্ন লড়াই লড়ব।
মমতার সবুজ সংকেত পেতেই তৃণমূলের তেরঙ্গা হাতে বিপ্লব
লোকসভা নির্বাচনের পর অর্পিতা ঘোষকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিতেই বিপ্লব মিত্র তৃমমূলে পাত্তাড়ি গুটিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তিনি শেষে ভুল বুঝতে পেরে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর তৃণমূলে ফেরা যখন স্রেফ মমতার সবুজ সংকেতের উপর নির্ভর করছিল। অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে তিনি ইতিবাচক সাড়া দিতেই বিপ্লব ঘরে ফিরলেন।
বিপ্লবের ফেরা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন নতুন সভাপতি
বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে ফিরবেন কি না দুদিন আগেই প্রশ্ন করা হয়েছিল জেলার নতুন সভাপতি গৌতম দাসকে। গৌতমবাবু তাঁর কথায় জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বিপ্লববাবু তৃণমূলে ফিরতেই পারেন, তবে তা রাজ্যের ব্যাপার, রাজ্যের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমি তো কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আর তারপর ৪৮ ঘণ্টার মাথায় বিপ্লব মিত্র আবার তৃণমূলে।
বিজেপির ৪ সাংসদ, ১ বিধায়ক, ১৬ কাউন্সিলর...! সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে জল্পনা