মমতা প্রশাসনিক বৈঠকে মেজাজ হারালেন, ধমক দিয়ে বললেন- সব সময় পাকামো!
প্রশাসনিক বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহদেব বাউড়িকে ধমক দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, এতক্ষণ তাহলে কী শুনলে।
প্রশাসনিক বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহদেব বাউড়িকে ধমক দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, এতক্ষণ তাহলে কী শুনলে। রাজ্যে কী বোর্ড হবে, কারা দায়িত্বে থাকবে, তা জানানোর পরও তোমরা শুধু চেয়ে চলেছ! তাঁর সাফ কথা আগে কিছুই ছিল না, এখন অনেক কিছু দিয়েছি।
বাঁকুড়ায় প্রশাসনির বৈঠকে বাউড়ি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন পর্যদ তৈরি করার আবেদন করেছিলেন ছাতরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহদেব বাউড়ি। তা শুনেই মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ আগেই রাজ্যে বাউড়ি, বাগদি ও মতুয়া বোর্ড গঠন নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বোর্ড আর উন্নয়ন পর্যদ আমরা একই অর্থে ব্যবহার করি। দুটো একই জিনিস। অনেক কিছু দিয়েছি আর কিছু চাইবে না। সব করে দেওয়া হচ্ছে ধীরে ধীরে। সরকারের সীমাবদ্ধতাও তো বুঝতে হবে, নাকি। কোথা থেকে টাকা আসবে ভেবে দেখেছ একবারও।
এরপরই তিনি বলেন, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে গেল করোনার জন্য। কেন্দ্র প্রায় কিছুই দেয়নি সেই তুলনায়। অন্য জায়গার সরকারি কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না, আমরা কিন্তু ১ তারিখের মধ্যেই বেতন দিচ্ছি, পেনশন দিচ্ছি। সবই তো মানুষের টাকা। কোথা থেকে টাকা আসবে একবার ভেবেছ?
সহদেব বাউড়ি তফিশিলি বন্ধু প্রকল্পে বিধবাদের সুবিধা দেওয়ার আবেদনও জানান। তখনও মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্রী জ বলেন, সব সময় পাকামো! এটা দাও, ওটা দাও। সারাক্ষণ দাও দাও দাও। শুধু চাইলেই হয় না। টাকাটা নিয়েও ভাবতে হবে। আমি যা দিয়েছি, তার আগে কেউ এক শতাংশও করতে পারেনি।