শুভেন্দু পর এবার মমতার সভাতেও গোলমাল! মেজাজ হারিয়ে বিজেপি ও সিপিএম-এর সভাতেও লোক পাঠানোর হুঁশিয়ারি
শুভেন্দু পর এবার মমতার সভাতেও গোলমাল! মেজাজ হারিয়ে বিজেপি ও সিপিএম-এর সভাতেও লোক পাঠানোর হুঁশিয়ারি
দলীয় সভাতেই মাথা গরম করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। সোমবার নন্দীগ্রামের (nandigram) সভার মতোই এদিন পুরুলিয়ার (purulia) সভায় বেশ কিছু পুরুষ ও মহিলা দাবিপত্র নিয়ে একপাশে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যার জেরে ক্ষেপে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যতই দাও, ততই চাই। তবে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে তিনি দাবিপত্র গ্রহণ করেন।
মাথা গরম মমতার
নন্দীগ্রামের পর এদিন পুরুলিয়ায় মমতার সভায় বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু পুরুষ ও মহিলা। তাঁরা প্ল্যাকার্ড ও কাগজ হাতে নিয়ে নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন। এঁদের কেউ প্রাণীবন্ধু সহায়ক, কেউ বা অন্য কোনও প্রকল্পে সহায়কের কাজ করেন। যা নিয়ে এদিন সভার মধ্যভাগে মাথা গরম করে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যতই দাও, ততই চাই। তিনি বলেন, এভাবে বিক্ষোভ দেখাবেন না, চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিন। তিনি বলেন, কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডিসটার্ব করে যাচ্ছে। এইভাবে পাবলিক মিটিংএ- ডিসটার্ব করলেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, এভাবে মিটিং-এ হাজির হয়ে চাপ তৈরি করবেন না। দলের নেতা, কর্মীদের এব্যাপারে সতর্ক হতে বলেন। তিনি বলেন, কোনও ঘোষণা করতে গেলে অর্থ দফতরের অনুমতি নিতে হয়। তিনি যেটা বলেন, সেটা করেন। ভাঁওতা দেন না।
সিপিএম, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি
বিক্ষোভ দেখানোর ক্ষেত্রে তিনি সিপিএম ও বিজেপিকে হুঁশিয়ারিও দেন। বলেন, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে এসব করছে। সিপিএম তো সব ভোট তুলে দিয়েছে বিজেপির হাতে। এখন আর তাদের কিছুই করার নেই। এবার ওইসব দলের মিটিং-এও তিনি লোক পাঠিয়ে দেবেন। তখন তারা বুঝতে পারবে।
বকে নিজেরই মন খারাপ মমতার
এরপরেই বেশ কিছুক্ষণ ভাষণ চালিয়ে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বকে তাঁর মন খারাপ। দলের কর্মীদের বলেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের হাতে থাকা কাগজ যেন তাঁর (মমতা) হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। কাগজ হাতে নিয়ে তিনি বলেন. না স্থায়ী চাকরির বন্দোবস্ত করা যাবে না। তবে যে কাজ তারা করছেন, তা যাতে ৬৫ বছর পর্যন্ত করা যায়, সেব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা করবেন।
শুভেন্দু অধিকারীর সভাতেও গোলমাল
৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এব্যাপারে শাসকদলকে অভিযুক্ত করেছিলেন। ঠিক দুদিন পরে পুরুলিয়ার কাশীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় তৃণমূলের পতাকা হাতে বেশ কিছু কর্মী চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও একটি গাড়িও সেই সময় এসে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেন শুভেন্দু অধিকারীই।
'ক্ষমতা থাকে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও', পুরুলিয়া থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার মমতার