নোট বাতিল ইস্যুতে আজ দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ মমতার নেতৃত্বে বিরোধী-জোট
নোট বাতিলের জেরে জনগণের হয়রানির প্রতিবাদে আজ দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী-জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন।
কলকাতা, ১৫ নভেম্বর : নোট বাতিলের জেরে জনগণের হয়রানির প্রতিবাদে আজ দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী-জোটের নেতৃত্ব দিয়ে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। এমনকী রাজ্যের এক নম্বর শত্রু সিপিএমকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে।
আচমকা দেশে বাতিল হয়েছে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট। পরিকাঠামো ও পরিকল্পনা ছাড়াই এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে দেশের মানুষ আজ খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে চরম আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় দেশে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সমস্ত বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রপতির সকাশে যাবেন মানুষের ভোগান্তির কথা জানাতে। বিজেপি বিরোধী এই জোটের লক্ষ্য, যে কোনওভাবে মানুষের হয়রানি লাঘব করা। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠে পড়েছে সিপিএম নোট ইস্যুতে বিজেপি-র কড়া সমালোচনা করে আক্রমণ জারি রাখলেও মমতার ডাকে বিরোধী ঐক্যে শামিল হবে কি?
নোট বাতিলের পর সাতদিন অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এখনও নতুন ৫০০ টাকার নোট অমিল। নোটের অভাব আর খুচরোর সঙ্কটে আম আদমির ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে জরুরি পরিষেবা সর্বত্রই চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আজ, মঙ্গলবারও এটিএম খোলা থাকলেও অধিকাংশ মেশিনেই ঝুলছে 'নো ক্যাশ বোর্ড'। ফলে ভোগান্তি অব্যাহত।
জনগণের ভোগান্তির প্রতিবাদে শুরু থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে পথে নেমে সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। তারপরই এই নোট ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বিরোধী শিবিরকে একজোট করতে তৎপর হয়েছেন মমতা।
সোমবার বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডাকেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বৈঠকে ছিলেন যোগ দেন তৃণমূল, সিপিএম, জেডিইউ, আরজেডি এবং আপের প্রতিনিধিরা। নোট কাণ্ডে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। মমতার ডাকে সেই অভিযানে সিপিএম অংশ নেয় কি না, তা-ই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।