এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্প ঘোষণার ৪৫দিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা চালু করেন, টুইট তৃণমূল সাংসদের
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন 'আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’–এর দ্বিতীয় দফার বক্তব্য রাখেন। এদিনের এই ঘোষণার লক্ষ্য ছিল লকডাউনের প্রভাব যাতে সহজ করা যায় পরিযায়ী শ্রমিক, হকার ও কৃষকদের জন্য। যখন এই ঘোষণাগুলি করা হয় তখন তৃণমূল নেতা তথা সংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন প্রস্তুত ছিলেন তাঁর জবাব নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের 'এক দেশ এক রেশন কার্ড’ ঘোষণার আগেই রাজ্য সরকার এই সুবিধা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষণা করেছেন।

একই স্কিমের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রীও
নিজের রাজ্যের বাইরে করোনা ভাইরাস ত্রাণ ও স্কিমের সুবিধার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড লাগবে না, অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই ঘোষণার ৪৫ দিন আগেই এটি কার্যকর করেছিল। অর্থমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন যে সব পরিযায়ীরা অন্য রাজ্যে আটকে রয়েছেন বা বাড়ির পথে আছেন তাঁদের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যশষ্য সহ করোনা ত্রাণ সংগ্রহের জন্য কোনও রেশন কার্ডের প্রয়োজন নেই।

কেন্দ্রের এক দেশ এক রেশন কার্ড স্কিম
সীতারমন বলেন, ‘পরবর্তী দুমাস সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্যশষ্য দেওয়া হবে। যাঁদের কার্ড নেই তাঁরাও প্রত্যেক পরিবার পিছু ৫ কেজি গম বা চাল এবং ১ কেজি ছোলা পাবে। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে পরিযায়ীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রায় ৮ কোটি মানুষ এতে উপকৃত হবেন। এই বাবদ সরকার ৩,৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। সীতারমন এও বলেন, ‘পরিযায়ী পরিবাররা অন্য রাজ্যে খাদ্যশষ্য পেতে সক্ষম হয় না। কিন্তু টেকনোলজি ড্রাইভেন সিস্টেম স্কিমে পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশের যে কোনও ন্যায্য মূল্যের দোকানে এই সুবিধা পাবেন।' ২০১২১ সালের মার্চ থেকেই সব পিডিএস দোকানগুলিতে এটি চালু হয়ে যাবে।

কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে টুইট সাংসদের
অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা পর তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ৪৫ দিন পর অর্থমন্ত্রী একই ঘোষণা করলেন। ডেরেক টুইটে বলেন, ‘৪৫ দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধায় ঘোষণা করেন যে রেশন কার্ড ছাড়াও রেশন পাবে সকলে। আজকে ১৪ মে। ঠিক আছে অর্থমন্ত্রী।' এই টুইটের সঙ্গে সাংসদ ৩১ মার্চের একটি সংবাদমাদ্যমের খবরও এর সঙ্গে পোস্ট করেন।

মার্চেই মমতা এই প্রকল্প ঘোষণা করেন
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মার্চ মাসে জেলার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন এবং নির্দেশ দেন যে রেশন কার্ড ছাড়াই যেন খাদ্যশষ্য দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রীর আর্থিক প্যাকেজ জুমলা ছাড়া কিছুই নয়, টুইট কংগ্রেসের