কাজের মেয়ে হেরে যাওয়ার দুঃখ পেয়েছেন! নাম করে দলের দায়িত্ব ভাগ মমতার
কাজের মেয়ে হেরে যাওয়ার দুঃখ পেয়েছেন! নাম করে দলের দায়িত্ব ভাগ মমতার
মালদহে নিজের দলের মধ্যে নেতাদের দলবাজিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণেই যে মালদহ উত্তরে দলের হার হয়েছে, তাও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কাজের মেয়ে মৌসম বেনজির নূর হেরে যাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধও। এদিন ভোটে মালদহের দায়িত্ব কোনও নির্দিষ্ট একজনের হাতে না নিয়ে, একাধিক নেতার মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন তিনি।
মালদহে দলবাজি নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা
মালদহের সভা থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন,মালদহের নেতারা কবে ঐক্যবদ্ধ হবেন। পাশাপাশি তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি ভুল সংশোধন না করলে হাজার মিটিং করেও কিছু হবে না। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেন, মালদায় তৃণমূল আসন পায়নি, যদিও তিনি বারেবারে গিয়েছেন সেখানে। তাঁর প্রশ্ন, মালদহের মানুষের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা নেই কেন। কোথায় দুর্বলতা, প্রশ্ন করেন তিনি।
কাজের মেয়ে হেরে যাওয়ায় দুঃখ
মালদহ উত্তর লোকসভা আসনে দলের প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর হেরে যাওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তবে যে সেই হার হিন্দু মুসলিম ভাগাভাগির কারণে নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দু-মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হলে, মৌসম তো মুসলমান, কেন জিতল না প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যে কোনওদিন কিছু করল না, সে জিতল আর যে মেয়েটা ঘুরে বেড়াল, কাজ করল সে হেরে গেল।
কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাত
উত্তর মালদহ আসনটি বিজেপির খগেন মুর্মু এবং দক্ষিণ মালদহ আসনটি কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী দখল করেছেন। পাশাপাশি জেলার ১২ টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে আঁতাত হয়েছিল।
একাধিক নেতার মধ্যে মালদহের দায়িত্ব ভাগ
বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এলাকা ভাগ করে এদিন মালদহের দায়িত্ব বন্টন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে ইংরেজবাজার পুরসভার ১,৪,৫,৭,৮,৯,১০,১২,১৯,২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নীহার রঞ্জন ঘোষকে দেওয়া হয়েছে ৩,৬,১৫,১৬,১৭, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। দুলাল সরকার ও নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে দেওয়া হয়েছে ১৪, ২০, ২১, ২২, ২৪, ২৫, ২৬,২৭, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের। অম্লান ভাদুড়িকে ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং আশিস কুণ্ডু ও সুমালা আগরওয়ালকে দেওয়া হয়েছে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। এছাড়াও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে গাজোল ও হবিবপুর, সাবিত্রী মিত্রকে মানিকচক, নজরুল হককে মোথাবাড়ির দায়িত্ব তিনি তুলে দিয়েছেন।