বছর শেষেই ২৬ জানুয়ারি নিয়ে লড়াই বাঁধল মোদী ও মমতার
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্যাবলো দেওয়া নিয়ে মোদী সরকারের বাংলার প্রতি উদাসিনতাতেই নাকি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাকে ঘোর অপমান করা হয়েছে। এই অভিযোগে এবার ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব শিগগিরি এই নিয়ে প্রকাশ্যে হয়তো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ক্ষোভের নিশানায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার। এমনকী তাঁর অভিযোগ, বাংলার সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্যাবলো দেওয়া নিয়ে মোদী সরকারের বাংলার প্রতি উদাসিনতাতেই নাকি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছে যে নবান্ন মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব বুঝে এই ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। কী হয়েছিল ঘটনা, এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া প্রতিক্রিয়াতে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অন্যবারের মতো এবার দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ 'একতা ও সম্প্রীতি' এই শীর্ষক ভাবনায় ট্যাবলো দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই নিয়ে গত সেপ্টম্বর মাসে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নির্বাচন কমিটির সামনে রাজ্যের পক্ষে একটি প্রেজেন্টেশনও দেওয়া হয়। এই কমিটির শেষ বৈঠক হয় অক্টোবরে। তাতেও পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো নিয়ে সদর্থক মনোভাবই নাকি দেখানো হয়েছিল।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই কমিটি বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কথা বললেও পশ্চিমবঙ্গকে এখনও কিছু জানায়নি। মোদী সরকারের এই উদাসিনতাতেই ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ট্যাবলো পাঠাতে হলে তার আয়োজনে হাতে খুব কম সময়ই পড়ে রয়েছে। সুতরাং, গোটা পরিস্থিতি নিয়েই ধোঁয়াশায় পড়ে আছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নির্বাচন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি বলেই সূত্রের খবর। এর আগে ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের 'কন্যাশ্রী' ট্যাবলোকে বাতিল করা হয়েছিল। এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তারমধ্যে চলতি বছরে কন্যাশ্রী বিশ্বসেরার সম্মান পাওয়ায় এখনও এই নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না বিজেপি বিরোধীরা।
২০১৪ এবং ২০১৬ সালে বাংলার পাঠানো ট্যাবলো সেরার সম্মান পেয়েছিল। ওই দু'বছরে বাংলার ট্যাবলো থিম ছিল 'ছৌ-নৃত্য' এবং 'বাউল'। এবার যে ভাবে ট্যাবলোতে বাংলাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে তাতে নাকি বাংলাকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রতিবাদও জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ও প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন:পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া চ্যাংড়াছোঁড়ারাই মমতার 'বন্ধু'! কটাক্ষ দিলীপের]