মোদী বিরোধী মুখ মমতা! এক ঢিলে দুই পাখি মারতে দিল্লি-মুম্বইয়ের ডাকে সাড়া
দিল্লির রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আবার মুম্বই ও দিল্লি থেকে ডাক চলে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এনডিএ-র সবথেকে পুরনো সঙ্গী শিবসেনা। তারপরই দিল্লির রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আবার মুম্বই ও দিল্লি থেকে ডাক চলে এসেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সে ডাক আবার যে সে লোকের নয়। মুম্বই থেকে যেমন শারদ পাওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতাকে। আবার বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহাও মমতাকে তাঁর ডাকা সমাবেশে উপস্থিত থাকার আর্জি জানিয়েছেন।
জাতীয় স্তরের দুই নেতার এই আহ্বানেই সাড়াও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে এই দুই সমাবেশে পাঠাতে। এর ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন মমতা। মোদী বিরোধিতায় তৃণমূল যে অন্য দলের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে, সেটা যেমন বোঝানো যাবে, সেইসঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিতে পারবেন মোদী বিরোধী প্রধান মুখ তিনিই। তাই মুকুল-বিরোধী দীনেশ ত্রিবেদীকে পাঠিয়ে মোদী-বিরোধী সমাবেশে নয়া বার্তা দিতে চাইছেন তিনি।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ গড়ে তুলতে সবথেকে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। রাহুল গান্ধীকে পাশে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় সরব হন। নোট বাতিল থেকে জিএসটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে। সমস্ত অ-বিজেপি দলকে এক মঞ্চে এনে গর্জে উঠেছিলেন তিনি।
এবার মমতার সেই মোদী বিরোধী মুখকে তুলে ধরতে চাইছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। তিনি ২৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ে মোদী বিরোধী মিছিলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস, বিএসপি, ডিএমকে, এডিএমকে-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সদ্য বিজেপির সঙ্গ ছাড়া শিবসেনাকে। ফলে এই সমাবেশ আদতেই বিজেপি বিরোধী দলগুলির এক হওয়ার আরও একটি মঞ্চ হয়ে উঠছে।
দিল্লিতে আবার বিজেপির গাত্রদাহের কারণ তাঁদেরই এক নেতা। ৩০ জানুয়ারি মোদী সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এই সমাবেশ যোগদানের জন্য তিনি আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রীদের আহ্বান জানিয়েছেন। সেইমতোই আমন্ত্রণ এসেছে মমতার কাছেও।
তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, বিজেপির এক নেতাও মোদী বিরোধিতায় মমতাকেই চাইছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয় বিজেপি বিরোধী শক্তিদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বড় মুখ। দিল্লির রাজনীতিতেও তিনি প্রাধান্য পাচ্ছেন। বিজেপি বিরোধী হাওয়া জোরদার করতে জাতীয় রাজনীতিতে যে মমতাই প্রধান মুখ, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি-মুম্বইয়ের সমাবেশের ডাক।