কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনায় সমবেদনা! দিদিই হামলা শেখাচ্ছেন, মমতাকে নিশানা মোদীর
কোচবিহারের (coochbihar) শীতলকুচির(sitalkuchi) গণ্ডগোল থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (mamata banerjee) আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi)। এদিন তিনি শিলিগুড়িত
কোচবিহারের (coochbihar) শীতলকুচির(sitalkuchi) গণ্ডগোল থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (mamata banerjee) আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi)। এদিন তিনি শিলিগুড়িতে সভা করেন। সেই সভা থেকেই মোদী বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায়, পঞ্চায়েত ভোটের মতো ছাপ্পা ভোট করাতে পারছেন না দিদি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরামর্শ নিয়ে নোটিশ
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন মহিলাদের ভোটদানে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ওদের এত ক্ষমতা কে দিয়েছে। বাংলায় থাকা, খাওয়ার খরচ দেওয়া হচ্ছে। এবার মারতে এলে হাতা, খুন্তি বঁচিট নিয়ে মা-বোনেদের তেড়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথ থেকে বরে করে দিতে এতে এলে বিদ্রোহের পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। যা নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪
কোচবিহারের শীতলকুচিতে এদিন সিআইএসএফ গুলি চালায়। যার জেরে চারজনের মৃত্যু হয়। এই চারজনই তাদের সমর্থক বলে দাবি করেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে বলা হয়েছে। ভোটদান কেন্দ্রের একশো মিটারের বাইরে ভোটদানের বাধা দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখান থেকে ভোটারদের বুথে আনতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে সিআইএসএফএ-র রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালানো হয়েছে।
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা
এদিন শিলিগুড়িতে সভা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোচবিহারের গুলি চালানোর ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি প্রথমেই গুলিতে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তারপর তিনি বলেন, বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের বিপুল জনসমর্থন দেখে দিদি এবং তাঁর লোকেদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিদির এই অন্যায় বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি আবেদন করেন, এই ঘটনায় যারা অপরাধী, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে ছাপ্পা ভোট
এদিন প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে ছাপ্পা ভোট হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে বলেন তৃণমূলের লোক তাদের বাইরে বের করে দেবে, এত সাহস? তিনি বলেন, দিদি আর তার গুণ্ডাপা হিংসা করে দিদিকে বাঁচাতে পারবেন না। দিদি ছাপ্পা ভোটের ট্রেনিং দেন বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন বাংলার মানুষ এখানেই থাকব৬ে। আর যদি কাউকে যেতেই হয় তাহলে সরকার থেকে আপনাকে (মমতা) যেতে হবে।