কোচবিহারের সভা থেকে আরও 'সম্মান'! কেন হারবেন দিদি, কারণ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তৃণমূলের (trinamool congress) আপত্তি সত্ত্বেও ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) দিদি বলেই সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi) । এদিন তিনি কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপ
নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তৃণমূলের (trinamool congress) আপত্তি সত্ত্বেও ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) দিদি বলেই সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi) । এদিন তিনি কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খানিক সম্মানও জানান। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জনগনই সাজা দেবে দিদিকে।
দেরির জন্য ক্ষমা চাইলেন মোদী
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী কোচবিহারের সভাস্থলে পৌঁছতে দেরির জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নেই। সাধারণ মানুষের ভালবাসাকে মর্যাদা দিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। লোকসভা ভোটের মতোই বিধানসভাতেও বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভগবান নয়, জনগণ বলছে
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে প্রথম দুই দফার অধিকাংশ আসন তাঁরা জিতবে। এই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ, সবাই। যার জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, কীভাবে জানল তাঁরা, তাঁরা কি ভগবান। এদিন কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন, জনগণের সাড়া দেওয়া থেকেই এর উত্তর পাওয়া যায়। এর জন্য ভগবানের দরকার নেই।
আদরনীয় দিদি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যে বিজেপির প্রচারে এসে কোনও সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন না। তিনি দিদি বলেই সম্বোধন করেন। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে আপত্তি করা হয়। বলা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসম্মান করছেন প্রধানমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিটকিরি দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়। নির্বাচন কমিশনেও এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এদিন অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে দিদির সঙ্গে আরও সম্মান দিয়ে মাঝে মধ্যে আদরনীয় দিদি শব্দ বন্ধ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
কীভাবে বোঝা যাচ্ছে দিদি হারবেন
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, রাজ্যে হারবেন। রাজ্যে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই অন্যরাজ্যে যেতে চাইছেন দিদি। ২০২৪-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারানসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন মোদী। বুথে দিদির বসা থেকেই জনগণ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে দিদি হারছেন। এছাড়াও সংখ্যালঘু ভোটও দিদির হাতছাড়া হয়ে গিয়েছেন। এব্যাপারে সংখ্যালঘুদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ভাষণের কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য দিদি একটা সময় দাবি করতেন, এখন সেই নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিদির শত্রু হয়ে গিয়েছে। দিদি এখন নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালি দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন। এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে দিদি হারছেন।
সুবিধা বাড়বে, থাকবে না কাটমানি
প্রধানমন্ত্রী এদিন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে জনসাধারণকে দেওয়া সুবিধা আরও বাড়বে। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভায় বলছেন, যদি তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, তাহলে জনগণকে দেওয়া সব সুবিধা তুলে নেবে বিজেপি সরকার। এদিন প্রধানমন্ত্রী সেই ধাঁধা কাটানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসলে থাকবে না কাটমানি, তোলাবাজি। প্রধানমন্ত্রী এদিন ভাইপো সার্ভিস ট্যাক্স নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বাড়ি তৈরি করতে বালি কিনতে গেলেও এই ট্যাক্স দিতে হয়।
তৈরি ১১ আত্মঘাতী! ভোটের মরশুমে জঙ্গিদের নিশানায় অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ