মমতা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জয়ের সরণিতে! বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মাত দিতে আত্মবিশ্বাসী
মমতা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জয়ের সরণিতে! বিজেপি-বাম-কংগ্রেসকে মাত দিতে আত্মবিশ্বাসী
এবারও কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এবারও নির্বাচনে ২০১৬ সালের মতো প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া উঠেছে। সেবার বাম-কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জোট চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মমতার তৃণমূলকে। ২০২১-এ তাদের চ্যালেঞ্জার বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখনও আত্মবিশ্বাসী তাঁর হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে।
সারদা-নারদের বেড়াজাল কেটে ফের ক্ষমতায় অলিন্দে
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শক্তিশালী হিন্দুত্ববাদী জোটের জয়ে বিজেপির আত্মবিশ্বাস আসতে আসতে বাড়তে শুরু করে। তারই মধ্যে ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারদা-নারদের বেড়াজাল কেটে ফের ক্ষমতায় অলিন্দে প্রবেশ করেন আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তিনি নামিয়ে আনেন মাটিতে।
২০২১-এর নির্বাচনে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ মমতা
২০১৯-এ প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখোমুখি হন বিজেপির। তৃণমূলকে ভেঙেই শক্তিশালী হয়ে ওটা বিজেপি তৃণমূলকে ফেলে দেন মহা-চ্যালেঞ্জের মুখে। বিজেপি ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে। আর তিন শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে তৃণমূলের ঝুলিতে আসে ২২টি আসন। এই অবস্থায় ২০২১-এর নির্বাচনে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে চলেছে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি।
তৃণমূল ও বিজেপির সম্মুখ সমরে বিশেষ পার্থক্য
এবার তৃণমূল ও বিজেপির সম্মুখ সমরে বিশেষ পার্থক্য হ'ল- বাংলায় বিজেপির আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচনী দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রভাবশালী ফুরফুরা শরিফের আলেম পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইআইএম-এর নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম ভোট ব্যাংকে সম্ভাব্য প্রবেশাধিকার।
কোনও শক্তিই আটকাতে পারবে না, আত্মবিশ্বাসী মমতা
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য তাঁর ক্ষমতায় ফেরা আটকাবে না। যতই তাঁর দলে থাবা বসাক বিজেপি, আর ভোট-কাটুয়াদের নামিয়ে দিক ভোট ময়দানে। বাংলার মানুষ তাঁর সঙ্গে আছেন। ফলে তিনি ক্ষমতায় ফিরবেনই। কোনও শক্তিই তাঁকে আটকাতে পারবে না। তাঁর সরকার মানুষের সরকার, মানুষই তাঁর শক্তি।
বাংলায় যে হাল ছিল, তার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থীদের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলায় যে হাল ছিল, তার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। বিপিএল পরিবারের বিদ্যুৎ হোক বা নন-বিপিএল বা এপিএল পরিবার ৫২ শতাংশ থেকে উন্নত হয়েছে ৯৮ শতাংশে। বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প তিনি নিয়েছে। ৯৭ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ওবিসি বিভাগের আওতায় এনেছেন। চাকরি ও শিক্ষার জন্য কোটা দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
মমতা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী একুশের ভোটে
অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল সম্প্রদায়ের ৩০ লক্ষেরও বেশি মেয়েকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একইভাবে সবুজসাথী ও যুবশ্রী প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪০ লক্ষ ছেলে-মেয়েকে সাইকেল এবং প্রায় ১ লাখ বেকারকে মাসে ১,৫০০ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাদ্যসাথী প্রকল্প-সহ বহু ক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। তাই মমতা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
নিমতিতার ঘটনায় জোরাল হচ্ছে বিদেশি জঙ্গি যোগ! গ্রেফতার এক বাংলাদেশি নাগরিক