একুশের ভোটে একা কুম্ভ মমতা! তাঁর মৌনী প্রতিবাদে সহস্র শব্দ হয়ে ঝরে পড়ল বাংলায়
একুশের ভোটে একা কুম্ভ! মমতার মৌনী প্রতিবাদই সহস্র শব্দ হয়ে ঝরে পড়ল বাংলায়
টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বিরোধী নেত্রীর প্রতিরূপ। একা বসে ধরনা-প্রতিবাদ তারই রূপক হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রের শাসক বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তা সত্ত্বেও তাঁর প্রতিবাদী সত্তা এদিন বাংলায় প্রচার করে দিল।
‘বিরাট’ শক্তির বিরুদ্ধে একা লড়ছেন মমতা
বিজেপির মতো বিরাট শক্তির বিরুদ্ধে একা লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে তিনি যে প্রচারের ঝড় তুলেছেন, তা রুখতে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মমতা বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট আসলে মোদী কোড অফ কন্ডাক্ট। তাঁর সেই বাণীই নির্বাচন কমিশনের কাছে উসকানিস্বরূপ ঠেকেছে।
প্রতিবাদী ধরনায় মমতার বার্তা বাংলার ঘরে ঘরে
নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রচার ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করলেও, থেমে নেই মমতা। তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তিনি প্রতিবাদী ধরনায় বসবেন। সেইমতো মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন। রং-তুলি হাতে তুলে নিয়েছেন। ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন নানা চিত্র। আর বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন বাংলার ঘরে ঘরে।
মমতার মৌনী প্রতিবাদই সহস্র শব্দ হয়ে ঝরে পড়ে
মমতা এদিন বুঝিয়ে দিলেন, নির্বাচন কমিশন যতই চেষ্টা করুক তাঁকে আটকাতে পারবে না। কোনও মঞ্চে গিয়ে বা সভা সমিতিতে তাঁকে বাকরুদ্ধ করতে পারে বিজেপি, কিন্তু তাঁর মৌনী প্রতিবাদই সহস্র শব্দ হয়ে ঝরে পড়বে বাংলার প্রতিটি ঘরে। সেটাই এদিন করে দেখালেন মমতা। মমতার একাকী প্রতিবাদের ছবিই নির্বাচনী প্রচারের ভাষা হয়ে উঠল এদিন।
একা কুম্ভ মমতা লড়াইয়ের ময়দান দাপাচ্ছেন
একুশের নির্বাচনের মাঝপথে যখন প্রতিদিন চার-পাঁচটি করে জনসভা করে বিজেপির প্রচারকদের বিরুদ্ধে একাকী লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি, তখন একদিনের নিষেধাজ্ঞা তাঁকে নিঃসঙ্গ করেছে। কিন্তু নিঃসঙ্গতাই মমতাকে পুরনো স্বরূপে ফিরিয়ে দিয়েছে। নিজের হাতে গড়ে তোলা সাম্রাজ্যে পায়ের তলায় মাটি যখন হারিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, তখনও একা কুম্ভ তিনি লড়াইয়ের ময়দান দাপাচ্ছেন।
বিপক্ষ অত্যন্ত শক্তিশালী, তবু অবিচল মমতা
বিজেপির কাছে হারের ভ্রুকূটি থাকা সত্ত্বেও একা কুম্ভ হয়ে দুর্গ রক্ষার যে আপ্রাণ চেষ্টা তিনি করে চলেছেন, যে একাকী আন্দোলনে তিনি বাংলার মুখ হয়ে দেখা দিয়েছেন, তা রোধ করার ক্ষমতা বিজেপির হয় কি না, তা বলবে ভবিষ্যৎ। বিশ্বস্ত সৈনিকরা বিশ্বাসঘাতকতা করে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। দলে বড় মুখ কেউ নেই। বিপক্ষ অত্যন্ত শক্তিশালী, তবু অবিচল মমতা।