Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
রান্না শেষ? কাটা সবজির খোসা ফেলবেন না, এই গরমে উজ্জ্বল ত্বক পেতে এর বিকল্প নেই -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
গোপালের হয়ে মমতার ব্যাটিং, সম্মতি দেবে কি বিরোধী ঐক্য, দিল্লিতে আজ মহাবৈঠক
এক সপ্তাহ আগেই সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন মমতা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী ঐক্যের সমন্বয় সাধনে সনিয়া যে মমতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা স্পষ্ট।
ফের নয়াদিল্লিতে বিরোধী ঐক্যে শান দিতে বৈঠকে বসছে অ-বিজেপি দলগুলি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সনিয়ার ডাকে একই মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম শিবিরও। এদিন বৈঠকে উপস্থিত থাকবে সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, আপ-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। তবে শিবসেনা ও আরজেডি-র যোগদান নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সনিয়াকে ভরসা জুগিয়ে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী হবেন কে। বিরোধীরা এক প্রার্থী স্থির করতে বদ্ধ পরিকর। সেই কারণেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর ডাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ফের বৈঠকে বসতে চলেছে অ-বিজেপি দলগুলি। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক ঘিরেই বিরোধী ঐক্যের পালে হাওয়া লেগে যায়।
এখন সেই হাওয়া ঝড়ের মতো বইতে শুরু করেছে। সনিয়া গান্ধী বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সেতুবন্ধনের কাজ করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়ার কাজ চালাচ্ছেন তিনি। সেইসঙ্গে এখন থেকেই অ-বিজেপি দলগুলিকে এক মঞ্চে এনে ২০১৯-এ ভারত জয়ের লক্ষ্যেও এগতে চাইছেন সনিয়া।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস-তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলির প্রথম পছন্দ প্রণব মুখ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যদি প্রণববাবুকেই রাইসিনা হিলের সিংহাসনে বসাতে চায়, তাহলে বিরোধীরা সমর্থন করবে। তখন ভোটাভুটির কোনও প্রয়োজনই থাকবে না। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় শাসক শিবির যদি দ্রৌপদী মুর্মু-র কথা ভাবেন, তখন বিরোধীদের তরফে তুরুপের তাস হতে পারেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বা মীরা কুমারের মতো কেউ।
২০১৯-কে নিশানা করে বিরোধীদের এই কাছাকাছি আসাকে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর সনিয়া গান্ধী। সেই কারণেই সবাইকে একই সঙ্গে নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কাজে অনেকটাই সফল সনিয়া। এর ফলে যেমন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী স্থির করতে সহজে ঐক্যমত্যে পৌঁছনো যাবে, তেমনই ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিরোধী মঞ্চ গড়ার রিহার্সালটাও সারা হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
