শিল্পের ডাকে মুম্বই পাড়ি মমতার, ইনফোসিস-আরমেকোর পর কারা রাজ্যে আসছে
এর আগে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র মুম্বইয়ে গিয়ে জুয়েলারি ও চর্ম শিল্পসংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বণিকসভার ডাকে সাড়া দিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন মুম্বইয়ে।
রাজ্যে শিল্পের জোয়ার আনতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি শিল্প সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গিয়েছে রাজ্যে। ইনফোসিস ও আরমেকার মতো বড় শিল্প সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগ করছে, এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শিল্প সম্ভাবনার জোয়ার তুলতে মুম্বইয়ে পাড়ি দিচ্ছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বণিকসভার ডাক এসেছে। সেই বণিকসভাকে মঞ্চ করেই রাজ্যে লগ্নি ক্ষেত্র তৈরি করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী বুধবার মুম্বইয়ে বণিকসভার বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবারই তিনি মুম্বই রওনা দিচ্ছেন। বুধবার যাবেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যসচিব মলয় দে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠককে মুখ্যমন্ত্রী পাখির চোখ করছেন রাজ্যে শিল্পে লগ্ন আনার জন্য। এই বৈঠকে যোগ দিয়ে শিল্পদ্যোগীদের কাছে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আহ্বান জানাবেন।
এদিকে রাজ্যে ১৬-১৭ জানুয়ারি বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। এই সামিটে অংশ নেওয়া জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহ্বান জানাবেন বণিকসভাকে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, মুম্বইয়ের বণিকসভাকে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আনা গেলে প্রভুত উন্নতি হবে বাংলার শিল্পের। বিশেষ করে জুয়েলারি ও চর্ম শিল্পসংস্থাকে রাজ্যে আনতে উৎসাহী মমতা।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র মুম্বইয়ে গিয়ে জুয়েলারি ও চর্ম শিল্পসংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। তাঁদের কাছে আবেদন করেন, রাজ্যে জুয়েলারি শিল্পের দক্ষ কারিগর রয়েছে। এদের বেশিরভাগই মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করেন। রাজ্য হাওড়ার ডোমজুড়ে জুয়েলারি হাব করার পরিকল্পনাও নিয়েছে। কলকাতায় রয়েছে নামি জুয়েলারি সংস্থা। তাই মুম্বইয়ের জুয়েলারি সংস্থা বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করলে রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে।
মুম্বইয়ের অন্যতম বড় জুয়েলারি সংস্থা 'গীতাঞ্জলি' এ রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা জুয়েলারি হাব তৈরি করবে। এ রাজ্যে আরও সংস্থা যদি এগিয়ে আসে বিনিয়োগের ইচ্ছা নিয়ে তাহলে জুয়েলারি শিল্পে জোয়ার আসবে। চর্মশিল্পের সম্ভাবনা নিয়েও সওয়াল করেন শিল্পমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীও বণিকসভায় গিয়ে সেই আহ্বানই জানাবেন। তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের সুবিধাজনক দিকগুলি তুলে ধরবেন। রাজ্যে যে কোনও জমি সমস্যা নেই, তাও তিনি জানাবেন মুম্বইয়ের বণিকমহলে। জানাবেন এখানে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাও বজায় রয়েছে। শিল্পের আদর্শ পরিবেশ তুলে দেওয়া সম্ভব শিল্পপতিদের হাতে। মোট কথা রাজ্যে শিল্পস্থাপনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উদ্দেশ্য।