শুভেন্দু-স্নেহে ‘অন্ধ’ ছিলেন মমতা! নির্বাচনী জনসভার মাঝেই দিলেন আবেগঘন বার্তা
শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি স্নেহান্ধ ছিলেন মমতা! নির্বাচনী জনসভার মাঝেই দিলেন আবেগঘন বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্ধ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর স্নেহে। শুভেন্দু-গড়ে নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়েই তিনি সেই আবেগঘন বার্তা দিলেন। সভার মাঝে বলেই ফেললেন- আমি স্নেহে অন্ধ ছিলাম। শুধু শুভেন্দু নন, দলত্যাগী আরও অনেকের উদ্দ্যেশেই তিনি এই আবেগঘন বার্তায় জানালেন তাঁর দুর্বলতার কথা।
শুভেন্দুকে নিয়ে আবেগপ্রবণ তৃণমূল সুপ্রিমো
পটাশপুরে সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হুইলচেয়ারে বসে সেই জনসভায় বক্তব্য রাখার সময়ই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও মুহূর্তেই আবেগ সামলে নেন তিনি। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তাঁর প্রতিপক্ষ নিয়ে সিরিয়াস হয়ে যান মমতা। বলেন, এই দলত্যাগ কোনও প্রভাব ফেলবে না। একুশের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসবেন তাঁরাই।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে মমতার বার্তা
আর মাত্র সপ্তাহকাল পরেই নির্বাচন শুরু হচ্ছে। বাংলায় এবার মোট আট দফায় নির্বাচন হবে। ২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচন হবে। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ১ এপ্রিল সেই বহু প্রতীক্ষিত লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে শুভেন্দু সম্বন্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই আবেগঘন বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
স্নেহে অন্ধ ছিলাম, বুঝতে পারিনি গদ্দারি করছে
শুক্রবার প্রথমে এগরা, তারপর পটাশপুরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পটাশপুরের সভায় তিনি শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। শুভেন্দু-সহ দলত্যাগীদের প্রতি তাঁর অপত্য স্নেহের কথা তিনি তুলে ধরেন। বলেন, স্নেহে অন্ধ ছিলাম, আমি বুঝতে পারিনি যে গদ্দারি করছে।
নিশ্চিত ও সুস্থ ভবিষ্যৎ পেতে বিজেপিকে ভোট নয়
মুহূর্তেই আবেগ সামলে তিনি বলেন, এই দলত্যাগ তৃণমূলের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। পাশাপাশি বিজেপিও যে এই বাংলায় বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারবে না, তাও জানান মমতা। তিনি বেকারত্বের জন্য দায়ী করেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। তিনি জনসাধারণের প্রতি বার্তা দেন নিশ্চিত ও সুস্থ ভবিষ্যৎ পেতে বিজেপিতে ভোট দেওয়া চলবে না।
শুভেন্দু-রাজীবের দলত্যাগে ব্যথিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা-নেত্রীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। একুশের নির্বাচনের আগে মমতার একনিষ্ঠ সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়েছেন। দল ছেড়েছেন তৃণমূলের আর এক ভবিষ্যৎ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া তাঁদের গুণগ্রাহীরা তো আছেনই।
মমতার এক মুহূর্তের আবেগঘন বার্তা কীসের প্রমাণ
আর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরও তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। সেই হিড়িকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সোনালি গুহ থেকে শুরু করে জটু লাহিড়ী, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, গৌরীশঙ্কর দত্ত প্রমুখ তৃণমূল ছাড়েন। শুভেন্দু-রাজীবদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহ ছিল অপার, তাদের দল ছাড়া যে মানতে পারেননি তিনি, এদিনের এক মুহূর্তের আবেগঘন বার্তাই তার প্রমাণ।
পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকতে দেওয়া হত না, অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন মমতা