মমতাই একনম্বর মুখ মোদী বিরোধী জোটের! কর্ণাটক ফলাফলে রাহুলকে টেক্কা
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস বড় দল হয়েও নেতৃত্বের অভাবে যে বারেবারে কংগ্রেসকে বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ছে, তা সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমশই।
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস বড় দল, একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু নেতৃত্বের অভাবে যে বারেবারে কংগ্রেসকে বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ছে, তা সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমশই। ফলস্বরূপ আরও একটি রাজ্যে বিজেপির কাছে হার মানতে হল কংগ্রেসকে। মোদীর ক্যারিশ্মার কাছে পরাজিত রাহুল গান্ধীর কৌশল।
[আরও পড়ুন:কর্ণাটকে কংগ্রেসকে ধূলিস্যাৎ করল বিজেপি, আগের বারের আসন ধরে রাখার পথে জেডিএস]
এই অবস্থায় ২০১৯-এ কী হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন দেশজুড়ে। তাহলে কি ২০১৯-এ ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী? কেননা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব মোদীর ক্যারিশ্মার কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় মোদীকে দিল্লির মসনদ থেকে হটাতে বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ হতে হবে রাহুল নয়, অন্য কাউকে।
রাহুলের এই ব্যর্থতায় সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বড় দল হয়েও তাঁকে মেনে নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কাউকে। বর্তমান রাজনীতির আঙ্গিকে বলা যেতেই পারে, মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধী নয়, অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত কর্ণাটকের ফলাফলের পর রাহুল গান্ধী অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন জোটের মুখ হিসেবে, তা একপ্রকার স্পষ্টই। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ প্রশস্ত হচ্ছে মোদী বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে।
বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে কি মানবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি জোটের মুখ হিসেব মানবেন রাহুল গান্ধী- তা নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। সেই বিতর্কে অনেকটাই জল ঢেলে দিল কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল। কংগ্রেসের একটা অংশেই নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি উঠে পড়েছে। রাহুলকে সরিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে নেতৃত্বে আনা হোক এমন দাবি উঠতে শুরু করেছে।
একইভাবে জোটের মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি অনেক শক্ত হচ্ছে ক্রমশই। নেতা বা নেত্রী হিসেবে অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টোদিকে যেটা একেবারে পারেননি রাহুল গান্ধী। যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই বলেছিলেন কর্ণাটকে জেডিএসের সঙ্গে জোট গড়লে জয় নিয়ে কোনও সংশয় থাকত না। জয় নিশ্চিত হত।
সেটাই প্রমাণিত হল কর্ণাটকের ফলাফল প্রকাশের পর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা আগেই বুঝেছিলেন একটা সর্বভারতীয় বড় দলের নেতা হয়েও রাহুল বুঝতে পারলেন না। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই সার বুঝতে হবে। তিনি যে সুত্র দিয়েছেন, সেই সূত্র মেনেই জোট গড়ার দিকে এগোতে হবে কংগ্রেসকে।
মমতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কংগ্রেসের উচিত সমস্ত আঞ্চলিক দলকে গুরুত্ব দেওয়া। যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দলের ক্ষমতা বেশি, সেখানে তাঁকে গুরুত্ব দিতে হবে, তার উপর নির্ভর করতে হবে কংগ্রসকে। তবেই বিজেপিকে হারানোর পথ মসৃণ হবে দেশে। মোদী সরকারকে বিদায় জানানো যাবে দিল্লির মসনদ থেকে।
[আরও পড়ুন: জোট হলে বদলে যেত চিত্র! কর্ণাটকের ফল নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচায় কী বার্তা মমতার]