লক্ষ্মণ শেঠের তৃণমূলে যোগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন মমতা! বাজকূলের সভায় ঘোষণা
নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পিছনে যিনি আছেন, তাঁর কোনও ঠাইঁ নেই তৃণমূলের। পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকূলে প্রশাসনিক জনসভা থেকে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পিছনে যিনি আছেন, তাঁর কোনও ঠাইঁ নেই তৃণমূলের। পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকূলে প্রশাসনিক জনসভা থেকে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন নাম না করেই লক্ষ্মণ শেঠকে চরম বার্তা দেন। তাঁর সাফ কথা, নন্দীগ্রামে কীসের সূর্যোদয় হয়েছিল? তা আমরা ভুলিনি। ভুলিনি নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর নেপথ্য নায়কদেরও।
শুভেন্দুর পর মমতারও ‘না’
সম্প্রতি বিজেপি ছেড়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলে। এমনকী এক সময়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু সরাসরি না করে দিয়েছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিলেন চরম বার্তা। বাজকূলের সভা থেকে চূড়ান্ত জবাবও পেয়ে গেলেন লক্ষ্মণ শেঠ।
বিপাকে লক্ষ্মণের ভবিষ্যৎ
এর ফলে লক্ষ্মণ শেঠের রাজনৈতিক জীবন আরও বিপাকে পড়ে গেল। একসময় সিপিএমের প্রবল প্রতাপশালী নেতা ছিলেন। সেই নেতাই নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর সিপিএমের কোণঠাসা হয়ে পড়লেন। সিপিএম ছেড়ে পৃথক মঞ্চ গড়লেন। যোগ দিলেন বিজেপিতে। তবু পসার জমাতে পারলেন না। এখন বিজেপি ছেড়ে তিনি সব কূল হারালেন।
বিজেপি ছাড়ার পর রাস্তা বন্ধ
বিজেপি ছাড়ার পর লক্ষ্মণ শেঠ কংগ্রেসের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন। তবে তাঁর মনে ইচ্ছা ছিল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার। তা সম্ভব হলে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারতেন সহজে। কিন্তু সেই রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। লক্ষ্মণের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল।
ভুলিনি নন্দীগ্রামের নেপথ্য নায়কদের
মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে কীসের সূর্যোদয় হয়েছিল? তা আমরা ভুলিনি। ভুলিনি নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর নেপথ্য নায়কদেরও। তাঁরা আজ কোথায়, কোন দলে নাম লিখিয়েছে, তা নিশ্চয়ই বলে বোঝাতে হবে না, তাঁদেরকে সমর্থন করবেন? পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকূলে প্রশাসনিক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাষাতেই সতর্ক করলেন।
হার্মাদরাই লাল জামা খুলে বিজেপিতে
মমতার কথায়, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি শিবিরে। ওঁদের নিয়েই বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছেন বিজেপি। শুধু লাল জামা খুলে গেরুয়া জার্সি পরে নিয়েছে ওঁরা। ওঁদেরকে বিশ্বাস করবেন না। একবার ভাবুন, রাজ্যে আপনাদের সরকার রয়েছে। তৃণমূল সরকার সদা ব্যস্ত মানুষের পরিষেবায়। যাবতীয় জনমুখী প্রকল্প নিয়ে সদা-সর্বদা সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।
ভেকধারীদের আর সুযোগ নয় সিপিএম
বিজেপি মানুষে মানুষে বিভেদ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা ফাঁদ পেতে রেখেছে। তাই সাবধান হয়ে পা রাখতে হবে। কেননা বাম জমানার অত্যাচার আমরা ভুলিনি। গ্রামের মানুষের উপর অত্যাচার করেছে ওঁরা। আমাদের ঢুকতে দেয়নি। তাহে কি আবার ওঁদেরকে সুযোগ দেবেন। মনে রাখবেন ওঁরা ভেকধারী। ওঁরা সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোতে চায়।