মমতার আঘাত লাগা পা অনেকটাই ভালো, কবে সেরে উঠবেন ইঙ্গিত দিলেন নিজেই
মমতার আঘাত লাগা পা অনেকটাই ভালো, কবে সেরে উঠবেন ইঙ্গিত দিলেন নিজেই
নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনেই প্রচারে বেরিয়ে জখম হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা। তারপর থেকে চার দফা নির্বাচনে তিনি প্রচার সেরেছেন হুইলচেয়ারে বসে। বুধবার জলপাইগুড়ির সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই জানালেন তাঁর পায়ের খবর। বললেন, তাঁর আঘাত লাগা পা অনেকটাই ভালো হয়ে গিয়েছে।
আঘাত লাগা পায়ে যন্ত্রণা এখন অনেকটাই কম
মমতা বলেন, তাঁর আঘাত লাগা পায়ে যন্ত্রণা এখন অনেকটাই কম। তিনি যে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন জলপাইগুড়ির সভা থেকে। নিজেই বলছেন, আর সামান্য সমস্যা আছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে পুরোপুরি সেরে যাবে তাঁর পা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এ খবর দেওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা অনেকটাই স্বস্তিতে।
ভাঙা পায়েই গোটা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন হুইল চেয়ারে
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের প্রচারে বেরিয়ে বাঁ পায়ের আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চিড় ধরে। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতায় ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পর থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থা তাঁর। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তিনি সেই পায়েই গোটা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন হুইল চেয়ারে করে।
শীতলকুচি-কাণ্ডে স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা
বুধবার তিনি হুইলচেয়ারে করেই মাথাভাঙায় গিয়েছিলেন। সেখানকার জনসভাতেই কোচবিহারের শীতলকুচি-কাণ্ডে স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ভোটে শহিদ হওয়া পাঁচজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখে জল এসে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
অন্যায় যদি হয় রাজবংশীর সঙ্গে, আমি দাঁড়াব পাশে
তারপর তিনি যান ধপূপগুড়ি ও জলপাইগুড়ির সভায়। সেখানেও তিনি শীতলকুচি-কাণ্ড টেনে এনে বলেন, অন্যায় যদি হয় রাজবংশীর সঙ্গে, আমি দাঁড়াব পাশে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা হিন্দু হোক বা মুসলিম তাঁরা সকলেই রাজবংশী। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হোক বা সংখ্যাগুরুদের সঙ্গে আমি সবসময় পাশে থাকব।
স্বজনহারাদের দেখে চোখে জল মমতার, আনন্দ বর্মনের পরিবারকেও সাহায্যের আশ্বাস