For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

পিকে-মমতার সম্পর্কের ফাটলে কি 'এক ব্যক্তি এক পোস্ট' নীতিই! নাকি অন্য ‘খেলা’

‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে একুশে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তার এক বছর না যেতে যেতেই তৃণমূলেই শুরু হয়ে গেল ‘খেলা’।

Google Oneindia Bengali News

'খেলা হবে' স্লোগান তুলে একুশে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তার এক বছর না যেতে যেতেই তৃণমূলেই শুরু হয়ে গেল 'খেলা'। পার্টির অন্দরেই এখন তৃণমূল বনাম তৃণমূল খেলা শুরু হয়েছে, তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন উঠছে, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ফাটলের মধ্যে শুধুই কি রয়েছে 'এক ব্যক্তি এক পদ নীতি'?

তৃণমূলে বিভেদ, তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন পিকে

তৃণমূলে বিভেদ, তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন পিকে

তৃণমূলে এই বিশৃঙ্খ পরিস্থিতিতে শনিবার কলকাতায় দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর কালীঘাটের বাসভবনে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকটি এমন সময়ে ডাকা হয়েছে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী এবং দলের প্রবীণ নেতাদের বেশিরভাগের সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিভেদ। আর তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা আই প্যাক।

‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে', কী ঘটছে তৃণমূলে

‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে', কী ঘটছে তৃণমূলে

বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে-'যা রটে তার কিছু তো ঘটে'। অতএব ধরে নেওয়া যেতেই পারে তৃণমূলের অন্দরের যে কোন্দল নিয়ে বর্তমানে রটনা তৈরি হয়েছে, তার কিছুটা ঘটেছে। অর্থাৎ যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছেদ নিয়ে, তার সম্পূর্ণ না হলেও কিছু অংশ সত্যি।

এক ব্যক্তি এক পদ নীতিই কি বিভেদের মূলে?

এক ব্যক্তি এক পদ নীতিই কি বিভেদের মূলে?

সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যাবে এখন দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। অভিষেক বন্যোপদপাধ্যায় শিবিরের তৃণমূল নেতারা এখন #IsupportOnePersonOnePost" প্রচারাভিযানকে সমর্থন করে পোস্ট দিচ্ছেন৷ আর তৃণমূলের মমতাপন্থী নেতা-নেত্রীরা ওই এক ব্যক্তি এক পদ নীতির পক্ষে নয়। ফলে বিভাজন সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

"#IsupportOnePersonOnePost" কী

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনোত্তর পর্বে ঘোষণা করেন, 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি প্রতি তাঁরও সমর্থন রয়েছে। এরপর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সংগঠনে তা প্রয়োগও করে। মন্ত্রী-বিধায়কদের সরিয়ে দেওয়া হয় জেলা সভাপতি পদ থেকে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তৃণমূল উপলব্ধি করে দলের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা

কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনের সময় 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতির বাস্তবায়নের সময় কিছু প্রাথমিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি গ্রহণ করা হোক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তৈরি প্রার্থী তালিকা অনুমোদিত না করে তাঁর পছন্দমতো প্রার্থীদের মনোনয়ন দেন। সেই থেকেই বাধে দ্বন্দ্ব।

এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ভঙ্গ কলকাতা পুরভোটে

এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ভঙ্গ কলকাতা পুরভোটে

কলকাতা পুরনিগমের ভোটের পরও এক ব্যক্তি এক পদ নীতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়নি। ভোটের ফলাফলের পরে দেখা যায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার মেয়র নিযুক্ত করা হয়। সাংসদ-বিধায়কদের দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন ও মেয়র পারিষদ পোস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়োগের অনুমতি দেন।

‘এক ব্যক্তি এক পদ' নীতির এই লঙ্ঘন ও অভিষেক

‘এক ব্যক্তি এক পদ' নীতির এই লঙ্ঘন ও অভিষেক

তৃণমূল কংগ্রেসে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতির এই লঙ্ঘন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোভাবে নেননি। এই সমস্যাটি আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল যখন তৃণমূল রাজ্যের ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে। ১০৮ পুরসভার প্রার্থীদের একটি তালিকা ৪ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়েছিল৷ তা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রকাশিত তালিকার সঙ্গে মেলেনি৷ তারপর পার্টি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘোষিত তালিকাকে সমর্থন করেন।

তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও আই প্যাক

তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও আই প্যাক

দুটি তালিকার অসঙ্গতিতে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণও ঘটে গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর মধ্যে ফিরহাদ হাকিম আবার অভিযোগ করেন, তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড পার্টির নেতারা 'অন্য'দের সঙ্গে ভাগ করেছে, যার ফলে দুটি পৃথক তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আই প্যাক

আই প্যাকের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে আগে থেকেই

আই প্যাকের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে আগে থেকেই

প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাকের বিরুদ্ধে তৃণমূলে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী যখন তৃণমূল ছেড়েছিলেন, তখন তিনি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা আই-প্যাককে তাঁর দলবদলের সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী করেছিলেন। প্রাক্তন বিধায়ক শীলভদ্র দত্তও আই প্যাকের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে দল ছেড়েছিলেন।

তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গ

তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট প্রসঙ্গ

দীনেশ ত্রিবেদী অভিযোগ করেছিলেন পাসওয়ার্ড ব্যবহারের তত্ত্ব। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে আই প্যাক। তাঁর নামের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল 'এক ব্যক্তি এক পোস্ট' নীতিকে সমর্থন করার জন্য। তার আগে তাঁর অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল প্রসঙ্গে পিকের আই প্যাক

সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল প্রসঙ্গে পিকের আই প্যাক

তবে একথা ঠিক যে, তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি পরিচালনা শুরুই হয় আই প্যাক আসার পরে। আই প্যাকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করার আগে তৃণমূলের সে অর্থে কোনও ডিজিটাল উপস্থিতি ছিল না। তাদের চুক্তির অংশ হিসাবে আই প্যাক ডিজিটাল স্পেসে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য প্রচার চালানো শুরু করে। আই প্যাকের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের সমাপ্তির পরে নেতা-নেত্রীদের হস্তান্তর করেছিল।

তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ' নিয়ে আই প্যাক

তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ' নিয়ে আই প্যাক

আই প্যাক তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের এই ধরনের দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের কথায়, তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা হয় এই বিষয়ে অজ্ঞ, নতুবা নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলছে। তৃণমূলে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নিয়ে প্রচারের কোনও পরিকল্পনাও ছিল না আই-প্যাকের। তৃণমূলের যুব শাখার নেতারাও অস্বীকার করেছেন যে, প্রচারণার সঙ্গে আই-প্যাকের কোনও সম্পর্ক ছিল না।

মমতার ডাকা বৈঠকে নজর রাজনৈতিক মহলের

মমতার ডাকা বৈঠকে নজর রাজনৈতিক মহলের

এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেল কলকাতায় দলের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের বরিষ্ঠ নেতাদেরও বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি প্রয়োজনে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন।

English summary
Mamata Banerjee increases distance with Prashant Kishor due to ‘one man one post’ issue in TMC.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X