'হাতুড়ে ডাক্তারদেরও ট্রেনিং দিচ্ছি আমরা', ট্রমা কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী আরও যা বললেন
এনআরএস কাণ্ড ঘিরে একচা সময় জুনিয়র ডাক্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান ঘিরে বেশ খানিকটা বরফ জমাট বেঁধেছিল। তবে মধুরেণ সমাপয়েৎ-এর মতো সেই সম্পর্কের মধ্যে র বরফ গলে যায় নবান্নের বৈঠকে।
এনআরএস কাণ্ড ঘিরে একটা সময় জুনিয়র ডাক্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান ঘিরে বেশ খানিকটা বরফ জমাট বেঁধেছিল। তবে মধুরেণ সমাপয়েৎ-এর মতো সেই সম্পর্কের মধ্যে র বরফ গলে যায় নবান্নের বৈঠকে। এরপর ১ জুলাই বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিবসে , তথা ডক্টর্স ডে উপলক্ষ্যে এদিন এসএসকে এম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করে সমাজের বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সম্মান জানান তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস , চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ অনেকে।
চিকিৎসকের ঘটতি ও হাতুড়ে চিকিৎসক নিয়ে বার্তা
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন রাজ্যে চিকিৎসকদের ঘাটতির সংখ্যা। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে কিভাবে প্রাইভেট নার্সিং হোম থেকে চিকিৎসকদের নিয়ে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা চালু রাখা হচ্ছে। আর সেই জন্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' আমরা চাই আরও ডাক্তার আসুক, পাচ্ছিনা তো কী করব..!.. বেড়েছে বেডের সংখ্যা, পৃথক স্বাস্থ্য জেলাও হয়েছে। .. আরও লাগবে।.. ' এরপর তিনি বলেন, 'কোয়েক ডাক্তার যাকে বলে হাতুড়ে ডাক্তার, তাঁদেরও ট্রেনিং দিচ্ছি। '
'স্থানীয় ভাষা শিখতে হবে '
এদিন নিজের বক্তব্যে ফের একবার মুখ্।মন্ত্রী উত্থাপন করেন ভাষার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন গ্রাম বা মফঃস্বলের কাছে যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁদের প্রয়োজন স্থানীয় ভাষাটা জেনে রাখা। তাতে কাজের সুবিধা হয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলা এগিয়ে
এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা 'এক নম্বর।' পাশাপাশি তিনি জানান, চিকিৎসকদের ঘাটতি মেটাতে তিনি নিজেও একাধিক উদ্যোগ নেন। তিনি প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা পড়ুয়াদের সঙ্গে কাউন্সিলিং এ বসেন। তারা কোন বিষয় নিয়ে পড়তে চায় ,তা জানেত চান মুখ্যমন্ত্রী। আর ধীরে ধীরে পড়ুয়াদের মধ্যে চিকিৎসক হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
রোগী-চিকিৎসক ভালোবাসার সম্পর্ক
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনও মতেই আইন হাতে তুলে নেওয়া কাম্য নয়। তিনি বলেন, 'হাজারটা লোক আসে, আর ঘটনা ঘটে একটা। আর সেই ঘটনাটাই গাদ দিয়ে চলে যায়। .. আমাদের সকলকে বোঝাত হবে। এক একটা ডাক্তারকে হাজারের ওপর পেশেন্ট দেখতে হয়। আমি তো আউটডোরের হিসাব জানি। .. এই জায়গা ভালোবাসার জায়গা। নিজেকে , নিজের পরিবারকে যেমন ভালোবাসি ,চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও সেভাবে ভালোবাসতে হবে। '
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা]