মমতা এখন ‘গদ্দার’দের খোঁজে! ‘ডেঞ্জার জোন’-এ দাঁড়িয়ে ভোট-অঙ্কে অশনি সংকেত
লোকসভা নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের কাছে অশনি সংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে। ১২৯টি বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। আরও ৬০টি আসনে বিজেপি পিছিয়ে মাত্র চার হাজারেরও কম ভোটে।
লোকসভা নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের কাছে অশনি সংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে। ১২৯টি বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। আরও ৬০টি আসনে বিজেপি পিছিয়ে মাত্র চার হাজারেরও কম ভোটে। এই অবস্থায় ১৯২টি আসন 'ডেঞ্জার জোন' হিসেবে চিহ্নিত করেছে তৃণমূলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এইসব কেন্দ্রগুলিতে 'গদ্দার' খোঁজার অভিযানে নেমেছেন।
গদ্দারি করল কে, ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে
খালি চোখে মনে হতে পারে বাম ভোট স্থানান্তরিত হয়েছে রাম ভোটে। কিন্তু এটাও ঠিক, তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। যে সমস্ত ভোট এতদিন তৃণমূলে বাক্সে আসত, এবার তা আসেনি। কেন এল না, গদ্দারি করল কে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে তৃণমূল। এবং কারা গদ্দারি করল জেলা ও ব্লক স্তরে তাও খোঁজার চেষ্টায় নামল তৃণমূল।
নিজেদের ভোটও হারালো তৃণমূল
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল বুঝতে পারছে যে তাঁদের জঙ্গলমহলের ভোট হাতছাড়া হয়েছে। পাহাড়ে এত বোর্ড করেও কাজের কাজ হয়নি। তাও হাতছাড়া হয়েছে এবার। সেইসঙ্গে মতুয়া ভোটও হাতছাড়া হয়েছে। আর সবথেকে উদ্বেগের ব্যাপার, সরকারি কর্মীদের প্রায় ৭০ লক্ষ ভোট এবার পায়নি শাসক দল। অর্থাৎ সরকারের প্রতি অনাস্থাও এবার সরকারি কর্মীদের মধ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে ভালোমাত্রায়।
তৃণমূলের ডেডিকেটেড ভোট কেন চলে গেল
এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের ডেডিকেটেড ভোট কেন চলে গেল, তা পর্যালোচনা করা দরকার। বাম ভোট বিজেপিতে গেল, তা নিয়ে বেশি না ভেবে আত্মসমালোচনা করে নিজেদের ভোট ফেরানোর বন্দোবস্ত করুক আগে। এই মর্মেই গদ্দার খোঁজা জরুরি হয়ে পড়েছে তৃণমূলের কাছে।
তৃণমূলে চলছে গদ্দারের খোঁজ
তৃণমূল এই মর্মে অলিখিত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে, এমন অনেক ব্লক রয়েছে, যেখানে নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা স্থানীয় বিধায়কের সম্মতিতে দলের নাম ব্যবহার করে জনগণের কাছ থেকে টাকা তুলছে। তারা মানুষের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে। তৃণমূল চাইছে এ ধরনের নেতাদের চিহ্নিত করতে। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।