দার্জিলিঙে মমতার বিরুদ্ধেই মোর্চার মিছিল, হাঁটতে হাঁটতে সটানে সেই মিছিলে খোদ মুখ্যমন্ত্রী! তারপর
সোমবারই মিরিক যাওয়ার পথে কালো পতাকা দেখানো হয় মমতাকে। সটান বিক্ষোভকারীদের সামনে হাজির হতেই রণে ভঙ্গ দিয়ে পিছু হটেন মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। আবারও তিনি হকচকিয়ে দিলেন মোর্চাকে।
তাঁর বিরুদ্ধেই মিছিল। আর সেই মিছিলেই সটানে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এমনই ছবি দেখল দার্জিলিং পাহাড়ের মানুষ। স্কুলস্তরে বাংলাকে আবশ্যিক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই পাহাড় থেকে তোপ দেগেছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। মঙ্গলবার এই নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন মোর্চা প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিঙে পা রাখাকালেই এই প্রতিবাদী মিছিলের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মোর্চা। কিন্তু, আবার মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক চালে মিছিল শুরুর আগেই অস্বস্তিতে পড়ে যান মিছিলের জন্য জমায়েত হওয়া মোর্চা সমর্থকরা।
যাঁর বিরুদ্ধে মিছিল তিনি খোদ মিছিলের মাঝে! এমন পরিস্থিতিতে হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলেন মোর্চা সমর্থকরা। এরমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার পাহাড়ের মানুষের কাছে আগ বাড়িয়ে গিয়ে কথা বলতে থাকেন। তাঁদের কোনও অভাব-অভিযোগ আছে কি না? সেকথাও জিঞ্জেস করেন তিনি। এতেই সাময়িক তাল কেটে যায় মোর্চার মিছিলের। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ফের তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। কুশপুত্তলিকা পোড়ে। গোর্খাল্যান্ডেরও।
সোমবার মিরিক যাওয়ার পথে কালো পতাকা দেখানো হয় মমতাকে। তখনও একই অবস্থান নেন তিনি। সটান বিক্ষোভকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে তিনি কাছে এসে কালো পতাকা দেখাতে বলেছিলেন। আর তাতেই রণে ভঙ্গ দিয়ে পিছু হটে গিয়েছিল মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনার একদিন পরে ফের একবার মোর্চার আক্রমণকে ভোঁতা করে দিলেন মমতা। স্থানটা এবার মিরিকের বদলে ছিল দার্জিলিঙে।