২২ বছর ধরে ভাত খান না মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর নিত্য আহারের হিসাব দেখলে চমকে যাবেন
২২ বছর ধরে ভাত খান না মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী রুটিকেও তিনি ব্রাত্য করে রেখেছেন। তাহলে দিন থেকে রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর কি খান তিনি? নিজেই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সেই হিসাবটা বললেন
২২ বছর ধরে ভাত খান না মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী রুটিকেও তিনি ব্রাত্য করে রেখেছেন। তাহলে দিন থেকে রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর কি খান তিনি? নিজেই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সেই হিসাবটা মেলে ধরেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিসাব মতো, দিনভর তিনি সেভাবে কোনও ভারী খাবার খান না। এই সময়টা মুড়ি আর চকোলেটটা তিনি বেশি করে খান। দু'ঘণ্টা অন্তর চা ও বিস্কুট খাওয়াটা তাঁর অভ্যাস। যেখানেই থাকুন না কেন এই রুটিনটা পালনের চেষ্টা করে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: মমতা কত অগণতান্ত্রিক দেখাবেন মুকুল! তারপরই জন আদালতে বিচার চাইবে বিজেপি]
মিষ্টি খেতেও নাকি খুব ভালবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক জীবনে বহুবার আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশকিছু হামলা তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যও হয়েছিল বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত বইয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন। শরীরের বহুস্থানে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। এই সবের জন্য তাঁর খাওয়া-দাওয়ার উপরেও কিছু নিষেধ রয়েছে। আর সেই নিষেধকে মানতে গিয়ে দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে ভাত-রুটিকে ব্রাত্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাতে মিষ্টি খাওয়াটা নাকি তাঁর পছন্দের। দিনভর যে ভাবে না খেয়ে থাকেন রাতে নাকি তা কড়ায় গণ্ডায় পুষিয়েও নেন তিনি। এমনটাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন খাদ্যাভাসের মধ্যেও নিয়ম মেনে তিনি মঙ্গলচণ্ডী ও সন্তোষী মা-এর ব্রতও রাখেন। মঙ্গলচণ্ডীতে তাঁর খাদ্যাভাসে খুব একটা প্রভাব পড়ে না বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে সন্তোষী মা-এর ব্রত রাখলে নিরামিষ খেতে হয়। সেই কারণে সেদিন ধোকার ডালনা নিয়ে মুড়ি খান তিনি। এছাড়া সাধারণত রবিবার বাড়িতে থাকলে ডিমের ঝোল দিয়ে মুড়ি খেতে ভালবাসেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জট কাটছেই না পঞ্চায়েত নির্বাচনের! এখন কেন নয়া নির্ঘণ্ট জারি করতে পারল না কমিশন]