লক্ষ্য ২০২১! প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনার পর করোনা মোকাবিলায় স্ট্র্যাটেজি বদল মমতার সরকারের
লক্ষ্য ২০২১! প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনায়র পর করোনা মোকাবিলায় স্ট্র্যাটেজি বদল মমতার সরকারের
করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে স্ট্র্যাটেজি বদল করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই যেমন টেস্টিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ঠিক তেমনই ডেথ অডিট কমিটি নিয়ে কোনও কথা শোনা যাচ্ছেন না পদাধিকারীদের মুখে। পাশাপাশি লকডাউন কড়া করতে পদক্ষেপও জোরদার করা হয়েছে।
বিরোধিতা বাড়ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে
সামনের বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে করোনা মোকাবিলা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করেই পরিকল্পনায় বদল করেছে সরকার। এমনটাই বলছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা। কম পরীক্ষা এবং নজরদারি কম নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল বারেবারে।
বারে বারে কেন্দ্রের সমালোচনা নিয়েও প্রশ্ন
সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে বারে বারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা নিয়েও। এরপর কেন্দ্রীয় দল নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করায় কিছুটা বিপাকেই পড়ে পাজ্য সরকার। এসব নিয়ে নিচুতলার থেকেই চাপ বাড়ছিল সরকারের ওপর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও চাপ বাড়ায়
এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের করোনা মোকাবিলা নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেগুলির মধ্যে অনেকগুলি ভুয়ো হলেও, বেশ কিছু ভিডিও-র সত্যতা ছিল। যার মধ্যে রয়েছে করোনায় মৃতদের শেষকৃত্যের বিষয়টিও। যাও চাপ বাড়ায় সরকারের ওপর।
প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনা
এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোরকে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়। তার পর বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রশাসনিক বিষয়ের পাশাপাশি, রাজনৈতিকভাবেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাতে বেশ কিছু ভুল শুধরে নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সরিয়ে নেন
প্রথম নজরে আসে নিজে স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে ডেথ অডিট কমিটি তৈরির থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তিনি জানিয়ে দেন এব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা করা হয়েছে। পরে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও জানান রিপোর্টিং স্ট্রাকচারে কিছু সমস্যা রয়েছে।