রাজ্যে অক্সিজেন নিয়ে আশ্বস্ত করলেন মমতা, আরও প্ল্যান্ট তৈরি করতে কেন্দ্রকে চিঠি
রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের (cxygen) ঘাটতি নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠকে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার।
রাজ্যে এই মুহূর্তে অক্সিজেনের (cxygen) ঘাটতি নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের বৈঠকে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। রাজ্যে আরও অক্সিজেনের প্ল্যান্ট তৈরি করতে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও করোনার মোকাবিলায় আরও বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে বৈঠক
রাজ্যে সপ্তমদফার নির্বাচন সমাপ্ত। বাকি আর একদফা। সেই দফার প্রচারও শেষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাতেই ছিলেন। দলের কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। দুপুরে ভোটও দিয়েছেন ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে। এরই মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে কমিশনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের জন্য। কমিশনের অনুমতিও আসে। মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে।
রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অক্সিজেনের অভাবের কথা উঠে আসছে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, যেখানে রাজ্যে প্রতিদিন ২২৩ মেট্রিকটন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেখানে প্রতিদিন রাজ্যে অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ ৪৯৭ মেট্রিকটন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার শিল্পে অক্সিজেন বন্ধের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে। ফলে আপাতত অক্সিজেন সংকটের মতো কোনও কথাই উঠতে পারে না। অন্যদিকে রাজ্যে আরও ৯৩ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য ৫ টি অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারা দেশে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ৫৫১ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে এই রাজ্যও বেশ কয়েকটি পাবে।
সেফ হোম, বেসরকারি হাসপাতালে বেড
বৈঠকে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং সেফ হোম নিয়েও আলোচনা হয়। করোনা রোগীদের জন্য সরকারি উদ্যোগে আরও সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম এবং গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলিও সেফ হোমের ব্যবস্থা করছে। করোনায় মৃত্যুর পরে মৃতদেহের সৎকার নিয়ে যাতে পরিবারগুলিকে কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়, তারজন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
সাধারণ মানুষ ও সরকারের পাশে রামকৃষ্ণ মিশন
এদিকে, রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে রাজ্য সরকারকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবারের কোনও রোজগেরে যদি করোনায় মারা যান, তাহলে সেই পরিবারের ৬ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে চায়।