পুজোর মরশুমে কৃষকদের পাশে মমতার সরকার! শোনাল সুখবর
কৃষকদের (farmer) পাশে দাঁড়াতে আরও এক পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(mamata banerjee) সরকারের। ধানের সহায়ক মূল্য (Minimum support price for paddy) কুইন্টাল পিছু ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। এবার ১০ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হওয়ার কথা।
মুর্শিদাবাদে জোড়া নৌকাডুবিতে মৃতদের পরিবাবের পাশে সরকার! সাহায্যের কথা ঘোষণা মমতার

রাজ্যে বাড়ছে ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য
রাজ্য সরকার ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নভেম্বর মাস থেকে রাজ্যে খরিফ মরশুমের ধান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। সেই সময় কৃষকদের কুইন্টাল পিছু ৫০ টাকা করে বাড়তি দেবে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগের মরশুমে খানের ন্যুনতম সহায়র মূল্য ছিল কুইন্টাল পিছু ১৮১৮ টাকা। তা এবারে বেড়ে হচ্ছে ১৮৬৮ টাকা। এছাড়াও সরকারি নির্ধারিত সেন্টারে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল পিছু আরও ২০ টাকা করে বেশি দেওয়া হবে।

কৃষকদের উৎসাহ দিতেই সিদ্ধান্ত
সরকারি সূত্রে খবর, কৃষকদের উৎসাহ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর আগেও রাজ্য সরকার কৃষকদের উৎসাহ দিয়েছে। কৃষকদের জন্য নির্ধারিত টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। গতবছর যাঁরা ধান বিক্রি করেছিলেন, এবার তাঁদের নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের দরকার হবে না। কৃষকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে অন্নদাত্রী অ্যাপেরও সাহায্য নেওয়া হবে।

রাজ্যে বাড়তি ধান সংগ্রহ
সরকারি সূত্রে খবর, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে এবারের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধান সংগ্রহের পরিমাণ ৪৮.০৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বোরো ধান ছিল ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন। সরকারি সূত্রে আরও খবর, যেখানে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন বোরো ধানের প্রয়োজন হয়, সেখানে বাড়তি ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ১ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০-র মধ্যে ১৪.৪৫ লক্ষ কৃষকের থেকে ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল।

বিনামূল্যে রেশন দিতেই বাড়তি ধান সংগ্রহ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ২০২১-এর জুন পর্যন্ত রেশন দোকান থেকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। এই চাহিদা মেটাতেই বাড়তি ধান সংগ্রহ বলে জানা গিয়েছে। আগামী মরশুমের জন্য ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

রাজ্যে চালু রয়েছে বিনামূল্যে শস্য বিমা
এর আগেও অবশ্য কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। বিনামূল্যে শস্য বিমা চালু করেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ বিমার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকারই। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের নাম বাংলা শস্য বিমা। চারটি পর্যায়ে বিমার টাকা পেয়ে থাকেন কৃষকরা। এর মধ্যে রয়েছে, শস্য রোপনের সময় তা কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, চাষের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ফসল কাটার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে, আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে।