মমতার সরকারের নয়া পরিকল্পনায় 'আমার কর্মদিশা', এবারে 'দুয়ারে সরকারে' 'কর্মসংস্থান'
মমতার সরকারের নয়া পরিকল্পনায় 'আমার কর্মদিশা', এবারে 'দুয়ারে সরকারে' 'কর্মসংস্থান'
২০২১-এর ভোটের আগে বাজিমাত করেছিল প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) প্রকল্পিত দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। সেই দুয়ারের সরকার ক্যাম্প নিয়ে নতুন ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের। এবার এই কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ (training) ও কর্মসংস্থানের (employment) মতো বিষয়ও রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। তৈরি করা হয়েছে নতুন অ্যাপ।
দুয়ারে সরকারে কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার
মুখ্যমন্ত্রী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, রাজ্যে সামাজিক প্রকল্পের যা কাজ হয়েছে, তা অন্য কোনও রাজ্য নেই। এবার সরকারের লক্ষ্য হল শিল্পস্থাপন এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এবারের দুয়ারের সরকার কর্মসূচিতে কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারের কারিগরি শিক্ষা দফতরকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেননা তারাই রাজ্যে যুবক-যুবতীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। রাজ্য সরকার চায় এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মসংস্থা তৈরি করতে।
পরবর্তী দুয়ারে সরকার ২ জানুয়ারি থেকে
আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন রাজ্যে পরবর্তী দুয়ারের সরকার বসতে চলেছে ২ জানুয়ারি থেকে। সেই দিন থেকেই ক্যাম্পগুলিতে প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের ব্যাপারে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ শুরু হতে চলেছে। এব্যাপারে ডিরেক্টরেট অফ ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে সরকারের নতুন পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান
সরকারি সূত্রে খবর প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাসে ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা গেলে পরবর্তী পর্যায়ে তা আরও বাড়ানো হবে। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এব্যাপারে চিন্তাভাবনা থাকলেও, করোনা পরিস্থিতিই বাধা তৈরি করেছে।
অ্যাপের মাধ্যমে সাহায্য
এই
কাজে
সাহায্য
করতে
ইতিমধ্যেই
আমার
কর্মদিশা
নামে
একটি
অ্যাপ
তৈরি
করা
হয়েছে।
দুয়ারে
সরকার
শিবিরে
থাকা
সরকারি
কর্মীরা
এই
অ্যাপের
মাধ্যমেই
সেখানে
যাওয়া
যুবক-যুবতীদের
সাহ্য
করবেন।
শিবিরগুলিতে
বৃত্তিমূলক
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে
প্রশিক্ষকরাও
হাজির
থাকবেন
বলে
জানা
গিয়েছে।
এঁরাই
কাউন্সিলরের
ভূমিকায়
থাকতে
চলেছেন
ক্যাম্পগুলিতে।
সরকারি
সূত্রে
খবর,
শিবিরগুলিতে
বেসরকারি
সংস্থাও
থাকবে।
প্রশিক্ষণ
দেওয়ার
খরচ
তারাই
দেবে।
পাশাপাশি
প্রশিক্ষণ
দেওয়ার
পরে
ভাতাও
দেবে
বেসরকারি
সংস্থাগুলি।
অর্থাৎ
প্রশিক্ষণ
শেষে
কর্মনিশ্চয়তা
রয়েছে
বলে
দাবি
করা
হয়েছে
সরকারি
সূত্রে।
প্রশিক্ষণ
পাওয়ার
পরে
যুবক-যুবতীরা
তাঁদের
যোগ্যতা
ও
ইচ্ছা
অনুযায়ী
কাজ
বেছে
নিতে
পারবে
বলেও
সরকারি
সূত্রে
দাবি
করা
হয়েছে।
নবান্ন
সূত্রে
দাবি
করা
হয়েছে
দুয়ারের
সরকারের
সাফল্যের
মতোই
সরকারের
প্রশিক্ষণ
ও
কর্মসংস্থানের
চিন্তাভাবনাও
সাফল্য
পাবে।