ভোট চলাকালীনই দিয়েছিলেন কথা! ১৪ লক্ষ করোনার ভ্যাকসিন কিনতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার
রাত পোহালেই তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দায়িত্ব নিয়ে নবান্নে করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি। উল্লেখ্য ভোট চলাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন যে ৫ মে
রাত পোহালেই তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দায়িত্ব নিয়ে নবান্নে করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি।
উল্লেখ্য ভোট চলাকালীনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন যে ৫ মে থেকে রাজ্যে শুরু হবে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।
১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে টিকাকরণ দেওয়া হবে। প্রথমদিন রাজ্যজুড়ে কয়েকটি কেন্দ্রে শুরু হবে ওই বয়সিদের টিকাদান। তারপর টিকা যেমন আসবে, কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হবে আরও বেশি কেন্দ্রে।
জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যে ইতিমধ্যে রাজ্য ভারত বায়োটেক এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে কিনতে চলেছে ১৪ লক্ষ টিকা।
এর মধ্যে সাড়ে ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড এবং সাড়ে তিন লক্ষ কোভ্যাকসিন রয়েছে। তবে কোভিশিল্ড পেতে তৃতীয় সপ্তাহ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে কোভ্যাকসিনের কিছুটা আজ মঙ্গলবার চলে আসছে রাজ্যে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এগুলি ছাড়াও আরও ৪ লক্ষ করোনার ভ্যাকসিন আসছে রাজ্যে। আজ মঙ্গলবার রাতেই চলে আসবে সেগুলি।
সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। সেইমতো রাজ্যের তরফে টিকার দাম মেটানোর সরকারি প্রক্রিয়া চলে রাত পর্যন্ত। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল তাদের কত টিকা লাগতে পারে, সেই হিসেব সরকারকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রের তরফে টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত না হওয়ায় ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকারণ এদিনও চাহিদামতো হয়নি। অনেকেই ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু খালি হাতেই তাঁদের ফিরতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতিতে দ্রুত বেড়ে চলা অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে ১০টি জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে। অক্সিজেন প্লান্ট, সেন্ট্রাল অক্সিজেন পাইপলাইন করা ইত্যাদি কাজেই তারা নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখছে না।
প্রায় ছ'হাজার করে ডি টাইপ জাম্বো ও বি টাইপ মিলিয়ে মোট ১২ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া দু'হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটার কেনা হচ্ছে এবং ২০ হাজার বাণিজ্যিক সিলিন্ডারকে রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহারের কাজে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত ৫৫টি অক্সিজেন প্লান্টের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে ১৫ মে'র মধ্যে। জুন মাসের মধ্যে এইসব জায়গা থেকে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে। ২০ মে'র মধ্যে ৪১টি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন পাইপলাইনও বসে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ক্রমশ বাংলায় খারাপ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৩৯ জন। এই অবস্থায় দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়াটা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।