নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে গিয়ে অভিযোগ শুনবে পুলিশ, শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে ময়দানে মমতা সরকার
নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে গিয়ে অভিযোগ শুনবে পুলিশ, শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে ময়দানে মমতা সরকার
নন্দীগ্রামে এবার বাড়তি নজর দিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে শুরু হয়েছে দুয়ারে পুলিশ প্রকল্প। এই প্রকল্পে নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে গিয়ে অভিযোগ শুনবে পুলিশ। তাঁদের আর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে না। করোনা আবহে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ নিয়ে আসবে পুলিশ। নন্দীগ্রামের বিধায়ককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মমতার এই কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের।
নন্দীগ্রাম নিয়ে বেশি তৎপর শুভেন্দু
নন্দীগ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নির্বাচিত করেছেন। এই জয়ের জন্য নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছিলেম শুভেন্দু। তারপর থেকে নন্দীগ্রামেই পড়ে থেকেছেন তিনি। ইয়াসের সময়ও দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে পথে ঘাটে নেমে মানুষের জন্য কাজ করতে। নন্দীগ্রামের মানুষকে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। ইয়াস বিপর্যয়ের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত নন্দীগ্রামের পরিস্থিতিই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন।
দুয়ারে পুলিশ প্রকল্প
বৃহস্পতিবার থেকে নন্দীগ্রামে শুরু হয়েছে দুয়ারে পুলিশ প্রকল্প। আজও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই নন্দীগ্রামের ১৬টি জায়গায় দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্র শুরু হয়েছে। আগামী ১ মাস ধরে চলবে এই প্রকল্প। নন্দীগ্রামের প্রতিটি পাড়ায় গিয়ে পুলিশ সহায়তা দেওয়া হবে। সেখানকার মানুষের অভিযোগ শোনা হবে বলে জানিয়েছেন আইসি। করোনা আবহে নন্দীগ্রামের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লিতে গিয়ে নালিশ
ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহের কাছে নালিশ জানিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির মতো পরিস্থিতিত তৈরি হয়েছে। বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া।তাঁরা ঘরে ফিরতে পারছেন না এমন সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দুকে চাপে রাখার কৌশল
নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁকে হারাননি বিজেপির চক্রান্ত করেই ইভিএমের গরমিল করেছিল বলে দাবি করেছিলেন মমতা। নন্দীগ্রামে পুণর্গননার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেটা খারিজ হয়ে যায়। তারপর থেকে য়দিও নন্দীগ্রামের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একাধিকবার সেখানে গিয়েছেন তিনি। শুভেন্দুকে চাপে রাখতেই হঠাৎ করে এই দুয়ারে পুলিশ কর্মসূচি নন্দীগ্রামে শুরু করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।