Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার সরকারের, নেপথ্যে কী কারণ
Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার সরকারের, নেপথ্যে কী কারণ
নভেম্বর মাসভর দুয়ারে সরকার চলেছে রাজ্যে। তারপর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল সরকার। জনকল্যাণমূলক পরিষেবা প্রদানের সরকারি কর্মসূচি শেষ হওয়ার দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল পাঁচ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত বদলে আরও বড়সড় ঘোষণা সামনে এল।
কথা মতো বুধবার ৩০ নভেম্বর ছিল এবারের দুয়ারের সরকারের শেষদিন। কিন্তু শেষ দিনেও শেষ হল না, এল সুখবর। তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে দুয়ারে সরকার নিয়ে বড় ঘোষণার পর বড় ঘোষণা হয়েই চলেছে। এবার দুয়ারে সরকারের যুক্ত করা হয়েছিল নতুন দুটি পরিষেবা। তার সঙ্গে ছিল ভ্রাম্যমান পরিষেবা। শেষ দিনে পাঁচ দিন বর্ধিত দুয়ারে সরকারে ঘোষণায় চমক দেওয়া হয়ছিল।
কিন্তু শুক্রবার ফের যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল, তারপর প্রশ্ন উঠছে, কেন রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার এভাবে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? দুয়ারে সরকারে অভূতপূর্ব সাড়া দেখে শুক্রবার নবান্নে বৈঠক হয়। সই বৈঠকে দুয়ারে সরকারের মেয়াদ বৃ্দ্ধির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব। প্রথমে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এবার তা বাড়ানো হল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে এটাই শেষ দুয়ারে সরকার। তাই কি আসন্ন পঞ্চায়েতে দুয়াররে সরকারের ফায়দা তুলতে বা দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে জনগণকে আরও পরিষেবা দিতে এই ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার? কেননা ৩০ নভেম্বরের জায়গায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুয়ারের সরকারের ক্যম্পের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অভূতপূর্ব এবং অস্বাভাবিকও বটে। এদিন একটি নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
২০২২-এর শেষ দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছিল ১ নভেম্বর। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল। একইসঙ্গে চলছিল পাড়ায় পাড়ায় সমাধান। কিন্তু শেষ দিনে হঠাৎ করেই বদল হয় সিদ্ধান্তে। মানুষের সাড়া দেখে জেলাশাসক, বিডিও ও জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সিদ্ধান্ত নেন পাঁচদিন তা বর্ধিত করার। সেইমতো তিনি বৈঠকে জানিয়ে দেন সমস্ত জেলাশাসক, বিডিও ও স্বাস্থ্য কর্তাদের। কিন্তু তার দুদিন পরে কেন সিদ্ধান্ত বদলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল দুয়ারে সরকার, সে প্রশ্ন সবার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন একুশের ভোটে জিতে আসার পর। তিনি তৃতীয় টার্মে সরকার গড়ার পর মানুষকে আর সরকারের দুয়ারে আসতে হচ্ছে না। সরকার মানুষের দুয়ারে যাচ্ছে পরিষেবার ডালি সাজিয়ে। সেই পরিষেবার ডালিতে এবার যুক্ত করা হয়েছিল জোড়া পরিষেবা। এবার জমির পাট্টার আবেদনও করা যাচ্ছে দুয়ারে সরকারে। করা যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনও। সরকারি অফিসে না গিয়ে দুয়ারে সরকারে গেলেই পরিষেবা মিলছে। এবারের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ভ্রাম্যমান সমাধান প্রকল্প।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ! বিধায়ক শিউলি সাহার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মামলা হাইকোর্টে