চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য সুখবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দফায় দফায় চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেইমতোই ১৩২.৫০ টাকা থেকে চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে হল ১৫০ টাকা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের দিনই চা বাগান শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের শ্রম দফতর চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি মিটল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দফায় দফায় চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেইমতোই ১৩২.৫০ টাকা থেকে চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে হল ১৫০ টাকা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই মজুরিবৃদ্ধি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন:ভোটে হেরেও সংবর্ধনা বিজেপির! উপনির্বাচনের "অক্সিজেন'-এ পঞ্চায়েত দখলের নয়া কৌশল]
পাহাড়ে অশান্তির পর থেকেই কম মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে বলে বিক্ষোভ বাড়ছিল চা-বাগান শ্রমিকদের। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে সেই ক্ষোভের প্রশমন ঘটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শ্রম দফতরের ঘোষণায়। এ জন্য এতদিন বহু ধর্মঘট, বহু বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। রাজ্য সরকার দফায় দফায় মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, পাহাড়ে অশান্তির আঁচ লেগে সেই প্রক্রিয়া থমকে যায়।
পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর আগে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩২.৫০ টাকা করা হয় মজুরি। তারপর আটমাস কোনও বেতন বাড়েনি চা শ্রমিকদের। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হল। ১৩২.৫০ টাকা থেকে তা বেড়ে হল ১৫০ টাকা। এবার ১৭.৫০ টাকা বাড়ল দৈনিক মজুরি। এদিন নবান্নে মজুরি বৃদ্ধি ঘোষণার অদ্যাবধি পরেই শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপি সরকার চা শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। চা বাগান খুলতেও কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্র।'
চা শ্রমিকদের উপার্জন প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল। চা বাগানের দরজাও বন্ধ। তার উপর চলছে নাগাড়ে জুলুমবাজি। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে সেই জুলুমবাজি নিয়ন্ত্রণ করে তৃণমূল সরকার। শুধু মজুরি বৃদ্ধিই নয়, চা বাগানের শ্রমিকদের দু-টাকা কেজি দরে চাল-গম দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণার পরই তৃণমূলে তরফে দাবি করা হয়, বাম আমলের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি বৃদ্ধি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসই বিভেদের কারণ! 'বুড়ো' নেতারা বাদ, নতুন যুগ শুরু সিপিএমে]