পুরভোটের আগে ঘর সাজাচ্ছে তৃণমূল, বনগাঁ পুরসভা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুরদফতরের
পুরভোটের আগে ঘর সাজাচ্ছে তৃণমূল, বনগাঁ পুরসভা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুরদফতরের
এবছরই পুরভোট করার ভাবনা চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে এক দফায় আলোচনাও হয়েছে। তার মধ্যেই বনগাঁ পুরসভা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল পুরদফতর। মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে শঙ্কর আঢ্যকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। মনে করা হচ্ছে পুরভোটের কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল করা হয়েছে।
পুরভোট কবে
করোনা সংক্রমণের কারণে পিছিয়ে গিয়েছে রাজ্যের পুরসভা ভোট। গত বছরেই পুরভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেটা করা হয়ে ওঠেনি। তারপরে বিধানসভা ভোটের তোরজোর শুরু হয়ে যায়। একুশের ভোটে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সরগরম ছিল বাংলা। তার জেরে করা যায়নি পুরসভা ভোটও। পুর প্রশাক নিয়োগ করেই চলছে পুরসভার কাজ কর্ম। ভোট জয়ের পর চলতি বছরেই পুরভোট করানোর ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে বৈঠকও করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বনগাঁ পুরসভায় রদবদল
পুরভোটের কথা মাথায় রেখেই ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বনগাঁ পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক শঙ্কর আঢ্যকে পদ থেকে সরানো হল। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। রাজ্যের পুর দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বদলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই গোপাল শেঠ মুখ্য পুর প্রশাসকের পদে কাজে যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
বনগাঁ উত্তরে খারাপ ফল
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে ভাল ফল করে উঠতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকদিন ধরেই শঙ্কর আঢ্যকে সরানোর কথা বলা হচ্ছিল। সেকারণেই পুরভোটের আগে তাঁকে মুখ্য পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন দায়িত্ব পেয়ে গোপাল শেঠ জানিয়েছেন দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা তিনি সবরকম ভাবে করার চেষ্টা করবেন। সূত্রের খবর, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস শঙ্কর আঢ্যকে সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ করা হয়।
গতবারের ফলাফল
২০১৫-র পুরসভা ভোটে বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে জয়ী হয়েছিলেন শঙ্কর আঢ্যও। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলররাই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। নেতৃত্বের কাছে শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। সেই ক্ষোভের কারণেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস।