মমতার সাড়া রাজ্যপালের ডাকে, অন্ধকার সরিয়ে রাজভবনে ‘চায়ে পে চর্চা’ দুই প্রধানের
মমতার সাড়া রাজ্যপালের ডাকে, অন্ধকার সরিয়ে রাজভবনে ‘চায়ে পে চর্চা’ দুই প্রধানের
প্রজাতন্ত্র দিবসের পর সত্যিই বুঝি মুছে গেল যাবতীয় গ্লানি। রাজ্যপাল ধনকড়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে প্রজাতন্ত্র দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিকেলেই সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে ছুটলেন মুখ্যমন্ত্রী। গণতান্ত্রিক উৎসবের আবহে কেটে গেল অন্ধকার।
আমন্ত্রণেই সব বরফ গলে জল
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের মুখচ্ছবি এমনই আভাস দিচ্ছিল কলকাতায় রেড রোডের কুচকাওয়াজে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়কে এদিন খোশ মেজাজে কথা বলতে দেখা যায়। পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বললেন হাসিমুখে। সৌহার্দ্র বিনিময় করেন। তখনই আমন্ত্রণটা সেরে রেখেছিলেন। সেই আমন্ত্রণেই সব বরফ গলে জল হয়ে গেল।
রাজ্যপাল আসার পর থেকেই সংঘাত
রাজ্যপাল হয়ে জগদীপ ধনখড় এ রাজ্যে আসার পর থেকেই তিক্ততায় ভরেছিল মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সম্পর্ক। উভয়ের মধ্যে বিধানসভায় সাক্ষাৎপর্বেও তুমুল বিতর্ক বেঁধেছিল। পরবর্তী সময়ে রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে গেলেও বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত পিছু ছাড়েনি।
আবহ বদলে দিল প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান
কিন্তু এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসে গণতন্ত্রের উৎসব একেবারে ভিন্ন কিছু ছবি উপহার দিল। যা থেকে উভয়ের মধ্যেকার গ্লানি দূর হয়ে গেল বলেই মনে হয়েছে। এবার পরবর্তী সময়ে ফের কোনও বিষয়ে সংঘাত চরম আকার নেয় কি না তা ভবিষ্যৎ বলবে। আপাতত যুদ্ধে বিরতি হলেই মঙ্গল রাজ্যের।
রাজভবনে চায়ের নিমন্ত্রণে সাড়া মুখ্যমন্ত্রী
মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে চায়ের নিমন্ত্রণ করেন রাজ্যপাল। মেঘ কেটে যাওয়ার পর মমতা রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজভভনে যান। তাঁদের মধ্যে কথা হয়। এর আগে পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে প্রথমবার এক মঞ্চে দেখা গেলেও কথা হয়নি রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন রেড রোড দেখল পুরো উল্টো ছবি।
অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন, আপ্লুত রাজ্যপাল
এর আগে রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যাননি। ডিজি, মুখ্যসচিবদের ডেকেছিলেন। তাঁরাও যাননি। অনেক পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গিয়েছিলেন রাজভবনে। তারপর মুখ্যমন্ত্রী গেলেন রাজভবনে। চায়ের আমন্ত্রণ অন্য মাত্রা পেল এতদিনে।