লক্ষ্য মতুয়া ভোট-ব্যাঙ্ক, বিজেপিকে ঠেকাতে বড়মার দুয়ারে ‘আশীর্বাদ’-প্রার্থী মমতা
অন্তত ১০টি লোকসভা কেন্দ্রে ফ্যাক্টর মতুয়ারা। তাই বিজেপি যাতে কোনও মতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়া ভাতে পা দিতে না পারে, সেজন্য তৎপর তৃণমূল।
অন্তত ১০টি লোকসভা কেন্দ্রে ফ্যাক্টর মতুয়ারা। তাই বিজেপি যাতে কোনও মতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়া ভাতে পা দিতে না পারে, সেজন্য তৎপর তৃণমূল। তৎপর স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ১২ দিনের জার্মানি-ইতালি সফর থেকে ফিরেই তিনি মনোনিবেশন করলেন মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুন্ন রাখার দিকে। এবারও তিনি নিজে ঠাকুরনগরে বড়মার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।
আগামী ১৫ নভেম্বর বড়মা বীণাপাণিদেবীর জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর। সম্প্রতি বিজেপি চেষ্টা করছে তৃণমূলের দিকে ঢলে থাকা মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা চান না, তাই তিনি নিজে এবার অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ অক্টেবর বড়মা বীণাপাণিদেবীর জন্মদিনের উৎসব উদযাপন। ওইদিন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বড়মাকে সংবর্ধনা জানাবেন। তারপর ১৫ নভেম্বরের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বড়মাকে বাড়ি থেকে অনুষ্ঠান মঞ্চে নিয়ে যাবেন। সেখানে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যও রাখবেন।
সম্প্রতি বিজেপি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে বিশাল জনসভা করে। সেই জনসভার পরই তৃণমূল জেগে উঠেছে। বিশেষ করে বিজেপির জনসভায় লোক দেখে শঙ্কিত তৃণমূল আর বসে না থেকে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে উঠে পড়ে লেগেছে। ২০১৫ সালে লোকসভা উপনির্বাচনের আগে ঠাকুরবাড়ির ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর তিনি ফিরেও আসেন তৃণমূলে। কিন্তু তৃণমূলে হঠাৎ এই ফাটল ধরায় ভোটব্যাঙ্কেও তার প্রভাব পড়ে। এই ফাটল ধরেই এলাকায় বিজেপি বাড়ছে।
[আরও পড়ুন:বিধায়কের বাড়ি থেকেই ৯ টি রাইফেল লুট! স্পেশাল পুলিশ অফিসারের খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা]
সেই কারণেই লোকসভার আগে আর কোনও ঝুঁকি নিয়ে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টি লোকসভার ভাগ্য নির্ধারণ করে মতুয়া ভোট। আর ২৯৪টি বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যে ৫৭টির। সেই কারণে এই ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখা মস্ত বড় ফ্যাক্টর। ২০১৪ সালের আগেও মমতা গিয়েছিলেন বড়মার আশীর্বাদ নিতে। এবার ২০১৯-এর আগে তিনি আগেভাগেই বড়মার আশীর্বাদ নিতে ছুটছেন।
[আরও পড়ুন:ফের ভারত বনধ! ২ দিনের জন্য স্তব্ধ হবে দেশ, মোদীর বিরোধিতায় পথে নামছেন শ্রমিকরা]