মমতা এবার ত্রিপুরার হৃদয় ছুঁলেন! ২০২৩-এর লক্ষ্যে ঐতিহ্য-সংস্কৃতিতে একাত্মতার বার্তা
ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। পিকের টিমকে পাঠিয়ে যেমন জল মাপতে চাইছে, আবার ত্রিপুরার সংগঠন বাড়াতেও তৃণমূল কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। প্রতিনিধি দল পাঠানোর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরা পাড়ি দিচ্ছেন।
ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। পিকের টিমকে পাঠিয়ে যেমন জল মাপতে চাইছে, আবার ত্রিপুরার সংগঠন বাড়াতেও তৃণমূল কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। প্রতিনিধি দল পাঠানোর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ত্রিপুরা পাড়ি দিচ্ছেন। আর বাংলায় বসেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগের বার্তা দিচ্ছেন ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে।
ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে একাত্ম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার ত্রিপুরাবাসীকে কেরপুজোর শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরার উপজাতিভুক্ত মানুষ এই পুজো করে থাকেন। বাংলা থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে উপজাতিভুক্ত মানুষের মঙ্গল কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে তিনি একাত্ম, তা বুঝিয়ে দিলেন।
|
মমতার টুইট কেরপুজোর শুভক্ষণে
ত্রিপুরা সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ হল কেরপুজো। তা আদিবাসীদের ঐতিহ্যের প্রতীকও। সেই ঐতিহ্যের সঙ্গেই একাত্ম হয়ে ত্রিপুরাবাসীর মঙ্গল কামনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সুস্বাস্থ্যের কামনা করলেন। মমতা টুইটে লেখেন- কেরপুজোর শুভক্ষণে ত্রিপুরাবাসীকে আমার অভ্যর্থনা। আমি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
ত্রিপুরাবাসীর মনে দাগ কাটতে চান মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইটে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেননি। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে নেই, তা বলা যাবে না। ত্রিপুরা রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে ত্রিপুরার উপজাতিভুক্ত মানুষের এই সংস্কৃতিকে সামনে রেখেই তিনি ত্রিপুরাবাসীর মনে দাগ কাটতে চাইলেন। উদ্দেশ্য অবশ্যই ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচন।
বিজেপিকে আরও একটি ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা মমতার
বাংলার নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত কররা পর প্রতিবেশী রাজ্যে ত্রিপুরায় বেশ খানিক হাওয়া তৈরি হয়েছে তৃণমূলের পক্ষে। ঠিক যেমন ২০১৬ নির্বাচনের পর হাওয়া তৈরি হয়েছিল তৃণমূল, তেমনই ২০২১-এর পরও তীব্রতর হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সেই হাওয়াকেই বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে এনে বিজেপিকে আরও একটি ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা কষছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুকুলের যোগাযাগ কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েই ভিনরাজ্যে দল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর প্রথম টার্গেট ত্রিপুরা। আর এই টার্গেট পূরণে তিনি পাশে পেয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়কে। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ২০১৬-য় তিনিই তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছিলেন। সেই যোগাযাগ কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ত্রিপুরায় হাওয়া জোরদার করতে চাইছে তৃণমূল
এখন আবার তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। রয়েছে তাঁর টিম আই প্যাকও। ত্রিপুরাকে টার্গেট করে এগনোর আগে আই প্যাককে পাঠিয়ে রাজ্যের জল মাপতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আই প্যাক ত্রিপুরায় সমীক্ষা চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন বিজেপি সরকারের কাছে। তারপর ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে হাওয়া জোরদার করতে চাইছে তৃণমূল।
ত্রিপুরায় জোয়ার আনতে তৃণমূলের টার্গেট
বাংলার নির্বাচনে সাফল্য আসার পর থেকেই যোগদানের হিড়িক পড়েছে ত্রিপুরায়। বিজেপি ছেড়ে নিচুতলার নেতাকর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে ভিড়ছেন। ১৫ হাজারেরও বেশি কর্মীর যোগদানের পাশাপাশি নিচুতলার নেতা-নেত্রীরাও তৃণমূলে আসছেন। ফলে বহরে বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে ত্রিপুরায় জোয়ার আনতে চাইছে তৃণমূল।
বাংলার পর ত্রিপুরায় খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে
তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও বলতে শুরু করেছেন, বাংলার পর ত্রিপুরায় খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। প্রাক্তন মন্ত্রী-বিধায়ক-সহ ৭ জন কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সাত নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়ে দাবি করেছেন বিজেপি ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিদায় নিচ্ছে। এবারও ত্রিপুরাতেও পরিবর্তন আসন্ন। এবার সরকার গড়বে তৃণমূল।
কংগ্রেস ছেড়েও হেভিওয়েটরা সময়ের ডাকে তৃণমূলে
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়েও হেভিওয়েট সাত নেতা যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের হাত ধরে ত্রিপুরায় সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলে ভিড়েছেন। যোগদানকারীরা হলেন- প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশচন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য পান্না দেব, কংগ্রেসের সংখ্যালঘু নেতা মহম্মদ ইদ্রিস মিঞা, প্রেমতোষ দেবনাথ, বিকাশ দাস, তপন দত্ত।
ফের পরিবর্তনের বাদ্যি বেজে গিয়েছে ত্রিপুরায়
২০১৬ সালের নির্বাচনের পরে কংগ্রেস ভেঙে ত্রিপুরায় পথ চলা শুরু হয়েছিল তৃণমূলের। মুকুল রায় নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন তৃণমূলের সংগঠন। তারপর মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর ত্রিপুরার তৃণমূলও ভেঙে ছত্রখান হয়ে যায়। সেই মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতারাই বিজেপিতে গিয়ে সিপিএম শাসনের অবসান ঘটান। এবার সেখানে ফের পরিবর্তনের বাদ্যি বেজে গিয়েছে বলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।