মমতার জবাব শুভেন্দুকে, মেদিনীপুর থেকে ৭ জনকে মন্ত্রী করে চমক রাজ্য রাজনীতিতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পরিবর্তনের সরকারের আমলেও মেদিনীপুর ব্রাত্য থেকেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পরিবর্তনের সরকারের আমলেও মেদিনীপুর ব্রাত্য থেকেছে। এমনকী মেদিনীপুরকে মন্ত্রিসভাতেও স্থান দেওয়া হয়নি সেভাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু দক্ষিণ কলকাতার আশেপাশের লোকজনকে নিয়েই সরকার চালান। শুভেন্দুর সেই অভিযোগের জবাব দিলেন নয়া সিদ্ধান্তে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে একপ্রকার রেকর্ড করেন। শুভেন্দুর গড় বলে পরিচিত অবিভক্ত মেদিনীপুরে ৩৫টি আসনে তৃণমূলকে গোহারা হারানোর সংকল্প নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বিজেপি কোনওরকমে মানরক্ষা করেছে। সিংহভাগ আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে তৃণমূল ৩৫টির মধ্যে ২৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির দখলে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের সাত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মাত্র দুটি আসন। আর ঝাড়গ্রামের একটি আসনও পায়নি বিজেপি। এই অবস্থায় অবিভক্ত মেদিনীপুরকে তার প্রতিদান দিয়েছেন মমতা বন্যোে পাধ্যায় সাত সাতজনকে মন্ত্রী করেছেন।
শুভেন্দুর অভিযোগকে উড়িয়ে দিল তৃণমূল। একইসঙ্গে বামফ্রন্ট আমলের রেকর্ডও ভেঙে দিল। অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে বাম আমলে ছ-জন মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার তৃণমূল অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে মোট সাতজনকে মন্ত্রী করল। ঝাড়গ্রাম থেকে ১ জন বীরবাহা হাঁসদা, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দুজন। সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি। আর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে চারজনকে মন্ত্রী করেছেন তৃণমূল। তাঁরা হলেন- মানস ভুইঁয়া, হুমায়ুন কবীর, শিউলি সাহা ও শ্রীকান্ত মাহাতো।