শুভেন্দু দল ছাড়তেই ফিরে এল 'পর্যবেক্ষক পদ', ভাঙন ঠেকাতে 'দুর্গ' সাজালেন মমতা!
দল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ অনেকেই। আবারে অনেকেই বেসুরো। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছে কয়েকটি জায়গায়। এরই মাঝে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার মধ্যে কয়েকটি জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু বিদায়ের পর দলের ভাঙন ঠেকাতেই ব্লুপ্রিন্ট সাজালেন মমতা।

ফিরে এল পর্যবেক্ষকের পদটি!
গত বছর সাগঠনিক রদবদলের সময় পর্যবেক্ষকের পদটি তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। পরে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাজ্যের সব জেলায় তিনিই অবজারভার। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। তাই পর্যবেক্ষকের পদটি ফিরিয়ে না আনলেও দলের কয়েকজন নেতাকে দিলেন জেলাগুলির পর্যবেক্ষণের দায়িত্বভার।

প্রত্যেক জেলার মাথায় থাকছেন একজন করে বর্ষীয়ান নেতা
প্রত্যেক জেলার মাথায় থাকছেন একজন করে বর্ষীয়ান নেতা। সূত্রের খবর, নদিয়া ও জঙ্গলমহলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং কোচবিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে।

দার্জিলিংয়ের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে
এদিকে হাওড়া, হুগলি, মালদা এবং মুর্শিদাবাদের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। দুই বর্ধমান, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। মলয় ঘটক পেয়েছেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দায়িত্বভার। দার্জিলিংয়ের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

২৪ পরগনা, বীরভূমের সভাপতিদের উপর ভরসা মমতার
তবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বীরভূমের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতিদের উপরই আস্থা রেখেছেন তিনি। এখন উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে রয়েছেন শুভাশিস চক্রবর্তী এবং বীরভূম জেলার দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
শুভেন্দুর 'অধিকারে' পিছিয়ে পড়লেন মমতা! ঘাসফুল ছেঁটে নন্দীগ্রামে পদ্ম বীজ রোপণ