বড় ঘোষণা মমতার, সাত দিনের মধ্যেই একশো দিনের কাজের বকেয়া মিটবে
বড় ঘোষণা মমতার, সাত দিনের মধ্যেই একশো দিনের কাজের বকেয়া মিটবে
করোনার আবহে একশো দিনের কাজই একশ্রেণির মানুষের কাছে অন্ন-বস্ত্রের জোগান হয়ে উঠেছে। সেই টাকা পেতে বিলম্ব হলে সমস্যার অন্ত থাকবে না। তা বুঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ঘোষণা করলেন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে। মঙ্গলবার পাঁচ জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা হাসি ফোটালেন একশো দিনের কাজের কর্মীদের।
একশো দিনের কাজ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
মমতা এদিন কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন, অবিলম্বে একশো দিনের কাজের টাকা ক্লিয়ার করে দিন। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে একশো দিনের কাজের একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতেই হবে। করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি চান না উন্নয়ন থমকে যাক। তাই একশো দিনের কাজের টাকা সাতদিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।
তালিকা মেনে টাকা মেটানোর নির্দেশ
মমতা বলেন, অনেকে একশো দিনের কাজ করেছিলেন, তাঁদের বকেয়া টাকা পাননি। কিন্তু আর দেরি নয়, খুব শীঘ্রই সেই টাকা পেয়ে যাবেন একশো দিনের কর্মীরা। মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, যাঁদের বাকি রয়েছে তাঁদের একটা তালিকা তৈরি করতে। সেই তালিকা মেনেই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা থাকুক, কাজও হোক : মমতা
মতা বলেন, করোনা থাকবে বলে উন্নয়ন বন্ধ রাখা যাবে না। করোনা থাকুক, কাজও হোক। সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে হবে। কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এমনই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরকার থাকবে আপনারাও থাকবেন
মমতা বলেন, নির্বাচন আসবে আবার নির্বাচন চলেও যাবে। কিন্তু সরকার থাকবে আপনারাও থাকবেন। তাই উন্নয়ন থেমে থাকবে না। রাজ্যের উন্নয়ন তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য মেনেই কাজ এগোবে। একশো দিনের কাজের বকেয়া মিটিয়ে সেই বার্তাই ফের একবার দিলেন মমতা।
ছোট ছোট রাস্তার উপর জোর
একশো দিলের কাজের পাশাপাশি তিনি জল ধরো জল ভরো, বাংলা সড়ক যোজনার ‘কাজল' প্রকল্প নিয়েও নির্দেশ দেন প্রশাসনিক বৈঠকে। তিনি বলেন, ছোট ছোট রাস্তার উপর জোর দিতে হবে। ছোট রাস্তায় ছোট গাড়ি চলবে। তিনি সড়ক যোজনায় জেলার কাজের ফিরিস্তি দিয়ে একহাত নেন প্রশাসনকে।
জঙ্গলমহলে পাখির চোখ মমতার, কুর্মিদের জন্য করম উৎসবের ছুটি ঘোষণা