শুভেন্দুকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ‘সুযোগ’ দিলেন মমতা! একুশের লড়াইয়ে চোখ নন্দীগ্রামে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর ডেরাতেই প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। তাঁর এই ঘোষণা থেকে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এটা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে একটা বড় সুযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে সুযোগ করে দিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী নির্ণায়ক লড়াই শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে!
অমিত শাহের হাত ধরে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথমবার নন্দীগ্রামে গিয়ে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তাঁর দলের প্রাক্তন সেনাপতিকেই বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী লড়াই হতে পারে। আর এই লড়াই যে মুখ্যমন্ত্রী নির্ণায়ক তা বলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখের লড়াইয়ে শুভেন্দুও
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর স্বভাবতই একটা কথা উঠেছে, তিনি বিজেপির মুখ হয়ে উঠতে পারেন। একুশের নির্বাচনে লড়তে বিজেপির ওই একটা স্থানই অভাব ছিল। সেই অভাব পূরণ করে দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। আবার এমন কথাও উঠেছে শুভেন্দু আসার পর বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে দিলীপ ঘোষের লড়াই আরও কঠিন হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মুখের লড়াইয়ে শুভেন্দুকে এগিয়ে দিলেন মমতা
শুভেন্দু বনাম দিলীপের লড়াই যখন বিজেপিতে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই একটা সিদ্ধান্ত শুভেন্দু অধিকারীকে অ্যাডভান্টেজ দেবে লড়াইয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যদি শুভেন্দু অধিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে সেই লড়াইয়ের বিজয়ী হিসেবে শুভেন্দু এগিয়ে থাকবেন।

শুভেন্দুর বিষদাঁত ভেঙে দিতে চাইছেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের ময়দানে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই শুভেন্দুর গড়ে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছেন একজন প্রার্থী হিসেবে। এই নন্দীগ্রামে জিতে তিনি শুভেন্দুর বিষদাঁত ভেঙে দিতে চাইছেন। শুভেন্দু না দাঁড়ালেই নৈতিক জয় তাঁর। তার উপর শুভেন্দুর নন্দীগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়া জেলার ভোট-রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।

শুভেন্দুকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেছে নিলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই শুভেন্দুর ডেরাকে বেছে নিয়েছেন নির্বাচনী ক্ষেত্র হিসেবে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যে তাঁর প্রথম পছন্দ শুভেন্দু অধিকারী, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন সামনে দাঁড়িয়েই এবার নেতৃত্ব দেবেন তিনি।

নন্দীগ্রাম ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে পারে বাংলার ভোটে
মমতা বনাম শুভেন্দুর এই লড়াই আদতে এমন পর্যায়ে যেতে চলেছে যে, নন্দীগ্রাম ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে পারে বাংলার ভোটে। যিনি জিতবেন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। শুভেন্দু নন্দীগ্রামে দাঁড়ান কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথায় শুভেন্দু ও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাখলেন। রাখলেন শুভেন্দুর মহানায়ক হওয়ার সুযোগও!
