ভিড় যেন না দেখি, করোনা মোকাবিলায় সশস্ত্র পুলিশ নামানোর হুঁশিয়ারি মমতার
বাজার নিয়ে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় রাজ্য প্রশাসনের। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরিয়ে ফাঁকা মাঠে বাজার সরিয়ে নিয়ে গিয়েও কাজের কাজ হয়নি। বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়।
বাজার নিয়ে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় রাজ্য প্রশাসনের। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরিয়ে ফাঁকা মাঠে বাজার সরিয়ে নিয়ে গিয়েও কাজের কাজ হয়নি। বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সশস্ত্র পুলিশ নামানোর হুঁশিয়ারি দিলেন। তাঁর সাফ কথা লকডাউন না মানলে কড়া হবে পুলিশ।
বাজারে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন!
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝে জানালেন, প্রয়োজনে পুলিশকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হবে। লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই কড়া হবে পুলিশ-প্রশাসন। নির্দেশ দিলেন খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ ভিড় দেখলে রেয়াত করবে না
মমতা সাফ বলেন, ভিড় যেন না দেখি। পাঁচ জনের বেশি কোনও দোকানে থাকা যাবে না। মাস্ক ছাড়া কাউকে বাজারে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আর প্রত্যেক বাজারেই স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মমতা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন, লকডাউনে কেউ কারণ ছাড়া বাইরে বের হবেন না। পুলিশ ভিড় দেখলে রেয়াত করবে না।
সংক্রমণ ঠেকাতেই হবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
মমতা বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতেই হবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে। একবার গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়ে গেলে মহামারী রোখা অসম্ভব হয়ে যাবে। প্রয়োজনে বাজারে সশস্ত্র পুলিশ প্রহরা থাকবে। কোনওরকম বিধিভঙ্গ করা যাবে না।
এখন কঠিন সময়, দিনরাত কাজ করতে হবে
মমতা পুলিশকে নির্দেশ দেন, এখন কঠিন সময়। প্রয়োজনে দিনরাত কাজ করতে হবে। সীমানা দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা করতে হবে। পুলিশকে তিনি বুঝিয়ে দেন, তাঁদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাঁদের হাতেই এখন রাজ্যের ভাগ্য।
পুলিশ ভালো কাজ করছে, তাহলে আধা সেনা কেন? রাজ্যপালকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা