তৃণমূলের রাশ থাকবে মমতার হাতেই! পিকে-অভিষেকের পাশাপাশি বার্তা শুভেন্দুদেরও
তৃণমূলের রাশ থাকবে মমতার হাতেই! পিকে-অভিষেকের পাশাপাশি বার্তা শুভেন্দুদেরও
তৃণমূল আর আমার দিদির নয়- এমনই আক্ষেপ শোনা গিয়েছিল দলের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর গলায়। আবার শুভেন্দুকেও বলতে শোনা গিয়েছে যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি ছিলেন, ততদিন কোনও অসুবিধা ছিল না। তৃণমূলের রাশ পিকে-অভিষেকের হাতে যেতেই যত বিপত্তি। তারপরেই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন বার্তা দিলেন।
কোথায় কে দল দেখবে, তা ভাবার দরকার নেই
বুধবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার আমিই দল দেখব। এতদিন কাজের চাপে একটু আলগা দিয়েছিলাম। এবার দলের নজরও রাখব আমিই। মমতা দলের উদ্দেশ্যে বলেন, কোথায় কে দল দেখবে, তা ভাবার দরকার নেই। কর্মী হিসেবে আমি সারা বাংলায় অবজার্ভার।
এবার আমিই দল দেখব, স্পষ্ট ইঙ্গিত মমতার
মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর স্বীকারোক্তি, কোভিড সিচুয়েশন যাচ্ছে, কাজের চাপ ছিল বলে দলের দিকে সেভাবে নজর দিতে পারিনি। একটু আলগা দিয়েছিলাম। তবে নির্বাচন আসছে, এবার আমিই দল দেখব। সরকারি কাজকর্মের যেমন নজর রাখি, দলের নজরও এবার রাখব আমিই। তাঁর এই কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।
ব-কলমে দল চালাচ্ছেন পিকে-অভিষেক, অভিযোগ ছিল
ব-কলমে দল চালাচ্ছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। আবার এই তৃণমূল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল বলেও দল ও বিরোধী সব পক্ষই আঙুল তুলছিল। মমতা তাই সক্রিয় হয়ে এবার জানিয়েই দিলেন, দলের রাশ তিনি তাঁর হাতেই রাখবেন। নির্বাচনের প্রাক্কালে আর আলগা হতে দেবেন না।
দল চালাবেন তিনিই, তিনিই গোটা বাংলার অবজার্ভার
মমতা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। একদিকে তিনি প্রশান্ত কিশোরকে বুঝিয়ে দিলেন দলের রাশ তাঁর হাতেই থাকবে। আবার শুভেন্দুদেরও বার্তা দিলেন, দলের রাশ আর পিকে-অভিষেকের হাতে থাকবে না। দল চালাবেন তিনিই। তিনিই গোটা বাংলার অবজার্ভার, দলের সব দিকে তিনি নজর রাখবেন।
মমতা বাঁকুড়ার সভা থেকে দলের বিদ্রোহীদের বার্তা
এখন দেখার মমতার এই বার্তার পর শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী-সহ যাঁরা প্রশান্ত কিশোরের দল পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা সঠিক লাইনে ফেরেন কি না। মমতা বাঁকুড়ার সভা থেকে দলের বিদ্রোহীদের বার্তা দিয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
দলের রাশ কড়া হাতে ধরবেন মমতা, পিকে-অভিষেক নন
সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। কোথাও কোথাও দলের পুরনো নেতাদের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিভেদ বাড়ছে নতুন-পুনরনো নেতাদের মনে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি সচেষ্ট তৃণমূলকে ভাঙতে। এই কঠিন আবহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাশ কড়া হাতে ধরতেই এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
সারদা-নারদা থেকে বাঁচতেই সিপিএম পায়ে পড়েছে! বিজেপিকে ঘুঁটে দিতে আহ্বান মমতার